ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

দুই ক্ষেপণাস্ত্রে ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্ত, নতুন ভিডিও প্রকাশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৬ এএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২০ বুধবার | আপডেট: ১০:০৭ এএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২০ বুধবার

পর পর ইরানের দুই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেহরানে ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে এমন একটি নতুন ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, বিধ্বস্ত হওয়ার আগে প্লেনে দুইটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে।

যেই ভিডিওটি প্রকাশ পেয়েছে সেটি ঘটনাস্থলের পাশেই অবস্থিত একটি বিল্ডিংয়ের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সংগ্রহ করা। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ইরানি এক ব্যক্তি হামলার ভিডিওটি ইউটিউবে প্রকাশ করে।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সঙ্গে সঙ্গে প্লেনে ছোট একটি বিস্ফোরণ হয়। এর ঠিক ২০ সেকেন্ডের মধ্যে দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি আঘাত হানে।

ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের পর প্লেনটি পুনরায় এয়ারপোর্টে অবতরণের চেষ্টা করে। কিন্তু দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের পরপরই প্লেনে আগুন ধরে যায়।

এদিকে, গত শনিবার (১১ জানুয়ারি) ইউক্রেনের যাত্রীবাহী প্লেন বোয়িং ৭৩৭ ভূপাতিত করার দায় স্বীকার করে নেয় ইরান।

বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছিল, ইরানের প্লেন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভুলবশত ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে প্লেনটিকে ভূপাতিত করেছে। প্লেনটি ইরানের রেভুলেশনারি গার্ডের অন্তর্গত একটি সংবেদনশীল অঞ্চল দিয়ে যাওয়ার সময় এটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়।

এই ঘটনার জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতা করতে হবে বলেও তারা জানায়।

এ বিষয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, এই ভুলের জন্য আমাদের পুরো দেশ গভীরভাবে দুঃখিত। প্লেন দুর্ঘটনায় নিহতের সকলের পরিবারের প্রতি আমি সমবেদনা জানাই। এই ঘটনায় তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই দুঃখজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে তেহরানের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া প্লেনটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে যে দাবি করা হয়, তা অস্বীকার করেছিল ইরান। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাসহ অন্যন্যা পশ্চিমারা দাবি করে আসছিল ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এটি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কিছু সময় বাদেই প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়। আর এতে মারা যায় ১৭৬ জন। নিহতদের মধ্যে ৮২ জন ইরানি, ৬৩ জন কানাডিয়ান, ১১ জন ইউক্রেনের, ১০ সুইডিশ, চার আফগান ও তিনজন জার্মানির নাগরিক ছিলেন বলে জানা গেছে।

দেখুন ভিডিও-