ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

অনশনরত অসুস্থ দুই শিক্ষার্থীকে মেডিকেলে ভর্তি

ঢাবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ০৩:৫১ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার

সনাতল ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজার কারণে আগামি ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ পেছানোর দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর আমরণ অনশন অব্যাহত রয়েছে। এতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন, অপূর্ব চক্রবর্তী ও অর্ক সাহা।

এছাড়াও  অনশনে অংশ নেওয়া জগন্নাথ হল শাখা ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) কাজল দাস অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে অনশনস্থলে চিকিৎসক এসে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। এসময় আরও কয়েকজনের অসুস্থতার খবর পাওয়া যায়।

নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে জাগো হিন্দু পরিষদ।

আমরণ অনশনে একাত্মতা পোষণ করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ড.সাদেকা হালিম, জগ্ননাথ হলের প্রভোস্ট ড.মিহির লাল সাহা ও আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র মণ্ডল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল সংসদ শাখার সহ-সভাপতি (ভিপি) উৎপল বিশ্বাস বলেন, ‘৩০ জানুয়ারি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা পালনের দিন। একইদিনে নির্বাচন কমিশন দুই সিটির ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছে। ভোটের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে আমরা গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছি। এর মধ্যে শাহবাগ অবরোধ করে আন্দোলনও করেছি। বুধবার নির্বাচন কমিশন অভিমুখে পদযাত্রাও করেছিলাম। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সামনে পুলিশ শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা আটকে দেয়।’

উৎপল বিশ্বাস বলেন,‘নির্বাচনের তারিখ পেছানোর দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সবার একটাই দাবি ভোটের তারিখ পরিবর্তন করা হোক।’

তিনি আরও বলেন, ‘হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অনেকেই আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। দেখা যাক কি হয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে।’

জগন্নাথ হল সংসদ শাখার সাধারণ সম্পাদক (জিএস) কাজল দাস বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন শুরু করেছেন। আমরাও আছি অনশনে। নির্বাচন কমিশন অফিসিয়ালি জানিয়েছে, তাদের পক্ষে নির্বাচন পেছানো সম্ভব নয়। তারপরও আমরা নির্বাচন কমিশনকেই জানাতে চাই, একইদিনে ভোট আর পূজা হতে পারে না। তাই সকল দিক বিবেচনায় ভোট গ্রহণের তারিখ পরিবর্তন করা হোক।’

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণের তারিখ পুনঃনির্ধারণের বিষয়টি বিবেচনার জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি।

এআই/