ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম মানবের জীবন অবসান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:০০ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২০ শনিবার

খগেন্দ্র থাপা মগর- বিবিসি

খগেন্দ্র থাপা মগর- বিবিসি

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম মানুষের জীবন অবসান ঘটেছে। ২০১০ সালে বিশ্বের সব থেকে খর্বকায় মানুষ হিসেবে গিনেস বুকে জায়গা করে নেন নেপালের খগেন্দ্র থাপা মগর। 

শুক্রবার বিকেলে নেপালের পোখরা শহরের একটি হাসপাতালে মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ২৭ বছর। খবর এএফপি, বিবিসি ও দ্যা ওয়ার’র। 

খগেন্দ্রর মৃত্যুর পর খগেন্দ্র থাপা মগর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মিনবাহাদুর রাণা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন খগেন্দ্র। পোখরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানেই আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি। 

মাত্র ৬৭ সেন্টিমিটার লম্বা ছিলেন খগেন্দ্র। তার ওজন ছিল মাত্র ৬ কেজি। ২০১০ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কমিটি তাকে বিশ্বের সবথেকে খর্বকায় ব্যক্তির স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু পরের বছরই এই স্বীকৃতি খগেন্দ্রর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন ফিলিপিনসের জুনরে বালাওইং। তার উচ্চতা ছিল ৫৯.৯৩ সেন্টিমিটার ও ওজন মাত্র ৫ কেজি।

১৯৯২ সালের ১৪ অক্টোবর পোখরাতেই জন্ম হয় খগেন্দ্রর। তার উচ্চতার জন্য ছোটবেলায় তাকে অনেক কটাক্ষ শুনতে হলেও গিনেস রেকর্ডের পর থেকে তিনি বিখ্যাত হয়ে যান। তার নামে একটা ফাউন্ডেশন তৈরি করা হয়। পরের বছর জুনরে গিনেস রেকর্ড খগেন্দ্রর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিলেও নেপালে তার খ্যাতি কমেনি। 

বাবার কোলে খগেন্দ্র থাপা মগর- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড সূত্রে জানা যায়, খগেন্দ্রর বাবা রূপ বাহাদুর জানান, জন্মের সময় খগেন্দ্র এতোটাই ছোট ছিল যে ওকে হাতের তালুতেই ধরে রাখা যেত। এতোটাই ছোট যে, ওকে গোছল করানো খুব কঠিন ছিল।  
২৭ বছর বয়সী খগেন্দ্র গিনেজ বুকে নাম ওঠানোর পর সেলিব্রেটি হিসেবে ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বের অনেক দেশ ভ্রমণ করেন। রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। 

নেপালের রাষ্ট্রীয় পর্যটন ক্যাম্পেইনেও কাজে লাগানো হয় খগেন্দ্রকে। ক্যাম্পেইনে বলা হয়, খগেন্দ্র  নেপালের সবচেয়ে ছোট মানুষ, যা কিনা আবার পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু পর্বত মাউন্ট এভারেস্টের দেশ।   

খগেন্দ্রর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন তার অনেক অনুরাগী। তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে গিনেজ বোর্ড। দুঃখ প্রকাশ করেছে নেপাল সরকার। 

এমএস/