ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

বিশ্বের ক্ষুদ্র মানব কে এই খগেন্দ্র?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:২৬ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২০ শনিবার | আপডেট: ০১:২৭ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২০ শনিবার

খগেন্দ থাপা মগর- সংগৃহীত

খগেন্দ থাপা মগর- সংগৃহীত

নেপালের কিশোর খগেন্দ্র থাপা মগর বিশ্বের সবচেয়ে খাটো মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। তখন ২০১০ সাল। ১৭ বছর বয়সী মগরের উচ্চতা ২২ ইঞ্চি। 

শুক্রবার বিকেলে নেপালের পোখরা শহরের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ২৭ বছর। 
  
২০১০ সালের ১৪ অক্টোবর ঘোষণা করা হয়, তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র মানুষের নাম। নিজের ১৮ তম জন্মদিনের দিন তিনি এ স্বীকৃতি পেয়ে গিনেজ বুক ওয়ার্ল্ডে নাম লিখিয়েছিলন। 

তবে নিজের খর্বকৃতি নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই খগেন্দ্রের। ২০১৫ সালে এক গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, তিনি বিয়ে করতে চান। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই তিনি বিয়ের কাজটি সম্পন্ন করবেন। স্ত্রীর হ্যান্ডব্যাগে বসে বিশ্বভ্রমণের স্বপ্ন দেখেন। যদিও শেষ পর্যন্ত বিয়ে হয়েছিল না খগেন্দ্রের। সে সময় তার ওজন ছিল সাড়ে ছয় কেজি। নেপালের একটি গ্রামে তার জন্ম এবং সেখানেই তিনি বেড়ে ওঠেন। তার বাবা একজন ফল ব্যবসায়ী।

শীঘ্রই বিয়ের কাজটা সম্পন্ন করার ইচ্ছা ছিল খগেন্দ্র’র - সংগৃহীত 

মাত্র ৬৭ সেন্টিমিটার লম্বা ছিলেন খগেন্দ্র। তার ওজন ছিল মাত্র ৬ কেজি। ২০১০ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কমিটি তাকে বিশ্বের সব থেকে খর্বকায় ব্যক্তির স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু পরের বছরই এই স্বীকৃতি খগেন্দ্রর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন ফিলিপিনসের জুনরে বালাওইং। তার উচ্চতা ছিল ৫৯.৯৩ সেন্টিমিটার ও ওজন মাত্র ৫ কেজি।

১৯৯২ সালের ১৪ অক্টোবর পোখরাতেই জন্ম হয় খগেন্দ্রর। তার উচ্চতার জন্য ছোটবেলায় তাকে অনেক কটাক্ষ শুনতে হলেও গিনেস রেকর্ডের পর থেকে তিনি বিখ্যাত হয়ে যান। তার নামে একটা ফাউন্ডেশন তৈরি করা হয়। পরের বছর জুনরে গিনেস রেকর্ড খগেন্দ্রর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিলেও নেপালে তার খ্যাতি কমেনি। 

গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড সূত্রে জানা যায়, খগেন্দ্রর বাবা রূপ বাহাদুর জানান, জন্মের সময় খগেন্দ্র এতোটাই ছোট ছিল যে ওকে হাতের তালুতেই ধরে রাখা যেত। এতোটাই ছোট যে, ওকে গোসল করানো খুব কঠিন ছিল।  

গতকাল শুক্রবার খগেন্দ্রর মৃত্যুর পর খগেন্দ্র থাপা মগর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মিনবাহাদুর রাণা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন খগেন্দ্র। পোখরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানেই আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি। 

এমএস/