ঢাকা, বুধবার   ০৮ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

শফিউলের পর মুস্তাফিজের আঘাত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৪২ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার

মুস্তাফিজ

মুস্তাফিজ

ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই পাকিস্তান সেরা ব্যাটসম্যান বাবর আজমকে সাজঘরে ফেরান শফিউল ইসলাম। শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই পাকিস্তান শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। যাতে ৩৫ রানেই দুই উইকেট হারায় পাকিস্তান।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬৫ রান। ক্রিজে আছেন অভিষিক্ত আহসান আলি ৩০ রানে এবং শোয়েব মালিক ১৬ রানে।

এদিন দলীয় শূন্য রানেই ফেরেন অধিনায়ক বাবর আজম। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইনিংস শুরু করেন মোহাম্মদ হাফিজ। জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ককে প্যাভিলিয়নে ফেরান কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ। পঞ্চম ওভারে দলীয় ৩৫ রানে ফেরেন হাফিজ।

এর আগে বাংলাদেশের কোনও ব্যাটসম্যানের উইলো থেকে দেখা যায়নি ঝড়ো ইনিংস। কেউ খেলেছেন টেস্ট, কেউবা খেলেছেন ওয়ানডে স্টাইলে। এমন ম্যাড়ম্যাড়ে ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৫ উইকেটে ১৪১ রান। ৪১ বলে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম।

বাংলাদেশের দলের ওপর আজ যেন ভর করেছে রান-আউটের ভুত! যাতে একে একে সাজঘরে ফেরেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। আর এই জোড়া ধাক্কা কাটিয়ে বড় স্কোর গড়তে পারেনি টাইগাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওই রান তুলতে পেরেছে।

শুক্রবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ ইনিংস শুরু করে বেশ ধীর গতিতেই। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ হলেও মারমার কাটকাট ব্যাটিংয়ের কোনও দেখা নেই। দর্শকরা মাঝেমধ্যে চিৎকার করে আসর জমানোর চেষ্টা করলেও শুরু থেকেই ধীর ব্যাটিং করছিলেন তামিম ইকবাল। 

তরুণ মোহাম্মদ নাঈম শুরুতে হাত খুললেও সময়ের সঙ্গে ধীরগতির ব্যাটিং শুরু করেন তিনিও। যদিও ওপেনিং জুটিতে এসেছে মূল্যবান ৭১ রান, তথাপি এতে সময় লেগেছে ১১ ওভার! মোহাম্মদ রিজওয়ানের থ্রোতে উইকেট ভাঙলে সাজঘরে ফেরেন ৩৪ বলে ৩৯ করা তামিম ইকবাল।

তামিম ইকবালের বিদায়ের পর নাঈমের সঙ্গী হন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিটন দাস। কিন্তু ১৩ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১২ রান করা লিটনও প্যাভিলিয়নে ফেরেন সেই রান আউটেই! এসময় উইকেটে আসেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। 

আর তখনই শাদাব খানকে ছক্কা মারতে গিয়ে ইফতেখারের তালুবন্দি হয়ে ফেরেন ৪১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪৩ রান করা নাঈম শেখ। যাতে ৯৮ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপরও ছিল বড় রানের আশা।

কিন্তু দুই অলরাউন্ডার আফিফ (৯) ও সৌম্য (৭) দ্রুত আউট হলে ভেস্তে যায় টাইগারদের বড় স্কোরের সেই আশা। শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে ১৪১ রান তুলতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। যেখানে অধিনায়ক ১৪ বলে ১৯ করে এবং মিঠুন তিন বলে পাঁচ করে অপরাজিত থাকেন।

স্বাগতিকদের হয়ে শাহীন আফ্রিদি, শাদাব খান ও অভিষিক্ত হারিস রউফ একটি করে উইকেট লাভ করেন। 

এদিকে, পাকিস্তানের বিপক্ষে এই প্রথমবার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে টাইগাররা। সবশেষ সিরিজে জিততে না পারলেও ভারতকে তাদেরই মাটিতে কাঁপিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। অন্যদিকে, আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রাখলেও সময়টা ভালো যাচ্ছে না পাকিস্তানের। ফল হওয়া সবশেষ ৯ ম্যাচের আটটিতেই হেরেছে তারা।

এনএস/