ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

লালদীঘির গণহত্যা দিবসে মহিউদ্দিন শামীমের কবরে শ্রদ্ধা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৬ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ১০:১৯ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার

চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারী পুলিশের গুলিতে সীতাকুণ্ডের শহীদ মহিউদ্দিন শামীমের ৩২তম শাহাদাৎ বার্ষিকীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগ।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে ও বিকালে উপজেলা আওয়ামীলীগ এর পক্ষ থেকে সভাপতি আবদুল্লাহ আল বাকের ভুঁইয়া বিদেশে থাকায় সাধারণ সম্পাদক এস এম আল মামুনের নেতৃত্বে আ ম ম দিলসাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলাম, এইচ এম তাজুল ইসলাম নিজামী, শাহা কামাল চৌধুরী, যুবলীগ সভাপতি শাহাজাহান, সহ সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম জসিমসহ আওয়ামীলীগ যুবলীগ নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এছাড়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ভুইঁয়া সামী আল মুজতবা শুভর নেতৃত্বে ছাত্রলীগ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে। এসময় উপস্থিত ছিল ওর্য়াড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর সোলেমান সেলীম, ছাত্রলীগ সভাপতি রেহান উদ্দিন রেহান প্রমুখ।

উল্লেখ্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও তত্কালীন বিরোধী দলীয় নেতা বঙ্গবন্ধু কন্যা বতর্মান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মিছিল নিয়ে লালদীঘি ময়দানের দিকে সমাবেশ স্থলে যাচ্ছিলেন, ওই সময় পুলিশ কমিশনার রকিবুল হুদার নেতৃত্বে পুলিশ ভয়াবহ আক্রমণ চালায়। সে সময় পুলিশ নির্বিচারে গুলি করেছিল ছাত্র-জনতার উপর। সে সময় ২৪ জন শহীদ ও দেড় শতাধিক আহত হয়েছিল।

শেখ হাসিনা ওই দিন ট্রাক মিছিল নিয়ে ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী বাংলাদেশ ব্যাংক অঞ্চল পেরিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ জনসভায় যেতে বাধা দেয়। ১৯৮৮ সালের ২৪ শে জানুয়ারী লালদীঘির ময়দানে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ আয়োজিত জনসভায় দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। জনসভা স্থলে যাওয়ার পথে মিছিলের তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেলেন। পুলিশ কোতোয়ালি থানার সামনের রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে দেয়। জনতা ব্যারিকেড সরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার পুলিশ বাহিনীকে ছাত্র জনতার উপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেয়। এ দিন পুলিশ নির্বিচারে বৃষ্টির মত গুলি চালিয়েছিল। 

পুলিশের গুলিতে শহীদ মহিউদ্দিন শামীম সহ সেদিন ২৪ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। তখন সামরিক স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ ক্ষমতায় ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে কয়েকশ মানুষ আহত হয়েছিল। শেখ হাসিনাকে নেতাকর্মীরা সুরক্ষা বেষ্টনী তৈরি করে উক্ত হামলা থেকে রক্ষা করে। শেখ হাসিনা বার বার পুলিশকে গুলি চালানো থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করলেও পুলিশ সেদিন গুলি বন্ধ করেনি। এতে ২৪ জন মানুষের প্রাণ ঝরে যায়।  

এসি