ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

বিষয়ভিত্তিক শিক্ষার দিকে এগিয়ে যেতে হবে: অর্থমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৯ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ১১:০১ পিএম, ২৪ জানুয়ারি ২০২০ শুক্রবার

প্রয়োজন অনুযায়ী বিষয় ভিত্তিক শিক্ষার দিকে এগিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তরুণ সমাজকে বিষয়ভিত্তিক লেখাপড়া করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই চাই দেশের উন্নয়ন করব। এখনকার চাহিদা মেটাতে গেলে যেই ধরনের লেখাপড়া দরকার সে লেখাপড়া যদি আমরা না করতে পারি, শিক্ষিত যদি না হতে পারি, তাহলে আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারবো না এবং বিশ্ব পরিমণ্ডলে অর্থনীতির ক্ষেত্রে আমরা হারিয়ে যাব।’

আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন্স সিস্টেমস (এআইএস) বিভাগের এলামনাই এসোসিয়েশনের ২৫ বছর ও এআইএসের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যারাই এখন পৃথিবীতে সবচেয়ে সেরা তারাই কিন্তু এখন ইন্টিগ্রেটেড। আপনারা আমাজনের নাম শুনেছেন। এই আমাজনের মালিক কিন্তু এক সময় ইন্টারনেটে বই বিক্রি করতেন। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ১৫০ বিলিয়ন ডলার। তিনি প্রতি মিনিটে আমাদের দেশের ৪৮ কোটি টাকা উপার্জন করেন। সেটা কিভাবে সম্ভব হলো? তিনি বিরাট আকারে ইন্ডাস্ট্রি করেন নাই, শুধু টেকনোলজির উপর ভিত্তি করেই এটা করেছেন। আমাজনের মালিক এটা করেই ই-কমার্স খাতকে অনেক শক্তিশালী করেছেন। এখন মেইল খুললেই এই প্রোডাক্টগুলো আমাদের সামনে চলে আসে। আগামীতে কিন্তু আরও সুন্দর সুন্দর আইডিয়া আসবে। মানুষের প্রয়োজন মেটাতে গেলে আমরা টেকনোলজি ছাড়া এগোতে পারব না।’

অর্থমন্ত্রী তরুণ সমাজের উদ্দেশ্যে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমাদের সামনে সুন্দর একটি বাংলাদেশ অপেক্ষমাণ। একটি সুন্দর পৃথিবী অপেক্ষমাণ। একটি সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা অপেক্ষমাণ। আমাদের ছেলে-মেয়েদেরকে আর চাকরির জন্য কষ্ট করতে হবে না। আমাদের ১০০টি ইকোনমিক জোনে কাজ শুরু হয়ে গেছে। আরও ১০০টি ইকোনমিক জোন করার পরিকল্পনা চলছে। ২০০ ইকোনমিক জোন হয়ে গেলে দেশের ৩ কোটি মানুষের চাকরির সুযোগ হবে। এগুলো সরাসরি চাকরি হয়ে যাবে। কাউকেই আর চাকরির জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। তারা ভালো ভালো জব করতে পারবে এবং দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে পারবে।’

মুস্তফা কামাল বলেন, কিছুদিন আগে ইংল্যান্ডে নির্বাচন হয়েছে। সেই দেশের দুইটা দল আছে। দুই দলই তারা তাদের জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা ক্ষমতায় গেলে তাদের গ্রাম পর্যায়ে ব্রড ব্র্যান্ড সংযোগ দেবে যেটা আমরা অনেক আগেই দিয়েছি। আমরাও পিছিয়ে নেই।

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান বিশ্ব চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ শিল্প বিপ্লবের প্রধান নিয়ামক হবে প্রযুক্তি। প্রযুক্তিনির্ভর এ বিপ্লবের সুযোগ নিতে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যেসব বিষয় প্রধান নিয়ামকের ভূমিকায় থাকবে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ন্যানো টেকনোলোজি, রোবোটিক্স, ব্লকচেইন, এনার্জি স্টোরেজ ও কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের মতো বিষয়।’

তিনি বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল পেতে হলে তার জন্য উপযোগী জনবল কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে এআইএস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে মন্ত্রীকে আজীবন সম্মাননা দেয়া হয়।

এমএস/এসি