ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

ভারতের পদ্ম পদক পেলেন দুই বাংলাদেশী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩২ এএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২০ রবিবার

কূটনীতিবিদ সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী এবং প্রত্নতত্ববিদ এনামুল হক। ছবি: সংগৃহীত

কূটনীতিবিদ সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী এবং প্রত্নতত্ববিদ এনামুল হক। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের অন্যতম সম্মানজনক বেসামরিক পদ্ম পদক পেয়েছেন দুই বাংলাদেশি। দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক 'পদ্ম ভূষণ' পেয়েছেন বাংলাদেশি কূটনীতিবিদ প্রয়াত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক 'পদ্ম শ্রী' পেয়েছেন প্রত্নতত্ববিদ এনামুল হক।

ভারতের রাষ্ট্রপতি দেশটির সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক পদ্ম বিভূষণ, পদ্ম ভূষণ এবং পদ্মশ্রী পদকের জন্য ১৪১ জনের নাম অনুমোদন করেছেন। এই তালিকায় সৈয়দ আলীর নাম ৯ নম্বরে এবং এনামুল হকের নাম ৬৪ নম্বরে স্থান পেয়েছে। 

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার (২৫ জানুয়ারি) এক বার্তায় জানিয়েছে, সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ভারতের পদ্মভূষণ পদক পেয়েছেন। এছাড়া প্রত্নতত্ত্ববিদ এনামুল হক পেয়েছেন পদ্মশ্রী পদক। নয়াদিল্লীর এই ঘোষণার পর ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর সঙ্গে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি ছবিও পোষ্ট করা হয়।

উল্লেখ্য সাহিত্য, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, ক্রীড়া, মানবসেবা ইত্যাদি বিষয়ে খ্যাতি অর্জন করা ও বিশিষ্ট সেবা প্রদানকারী ব্যক্তিকে ভারত সরকার প্রতিবছর তিন ধরনের পদ্ম সম্মাননা প্রদান করে। মূলত পদ্ম বিভূষণ- পদ্ম সম্মাননাসমূহের মধ্যে শীর্ষ স্থানীয়। এই সম্মাননা প্রাপকদের যে স্মারকটি দেয়া হয়, সেটি ঘোরানো একটা ট্রফি। এর মধ্যভাগে সোনার বড় পাত বসানো, চারটি পাঁপড়ির একটি পদ্ম ফুলের প্রতীক খোদিত।

অন্যদিকে, পদ্মভূষণ হচ্ছে, পদ্ম সম্মাননা সমূহের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে। এই স্মারকটিও পদ্ম বিভূষণের মতোই, কেবল এর পদ্ম ফুলটির প্রতীকে তিনটি পাঁপড়ি আছে। এছাড়া পদ্মশ্রী পদক হচ্ছে, পদ্ম সম্মাননাসমূহের মধ্যে তৃতীয় স্থান। এই স্মারকটিতে পদ্ম ফুলের যে প্রতীক আছে, তার পাঁপড়ি পাঁচটি। এই তিন প্রকারের স্মারক গোলাপী রিবনের সঙ্গে প্রাপ্যজনকে দেয়া হয়। গত ১৯৫৪ সাল থেকে পদ্ম সম্মাননা প্রদান করে আসছে ভারত সরকার।

বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকেই কূটনীতিক হিসেবে বিশ্বে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মোয়াজ্জেম আলী। ২০১৪ সাল থেকে গত ডিসেম্বর পর্যন্ত দিল্লিতে বাংলাদেশের হাই কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন এই পেশাদার কূটনীতিক। দায়িত্ব ছেড়ে দেশে ফেরার কয়েক দিনের মাথায় গত ৩০ ডিসেম্বর ইন্তেকাল করেন তিনি।

ঢাকা জাদুঘরকে ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে রূপান্তর করেন জাদুঘর আন্দোলনের পথিকৃৎ এনামুল হক। আহসান মঞ্জিলকে জাদুঘরে পরিণত করার মূল উদ্যোক্তাও তিনি। পাশাপাশি গীতিনাট্য রচনায় পালন করেছেন অগ্রণী ভূমিকা।

এই দুই কৃতিমান বাংলাদেশী ছাড়াও এর আগে ২০১৪ সালে সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে পদ্মভূষণ এবং তার আগের বছর সমাজকর্মী ঝর্ণাধারা চৌধুরীকে পদ্ম শ্রী খেতাবে ভূষিত করেছিল ভারত সরকার।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিবছরের মতো এবারও মার্চ-এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রপতি ভবনে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পদকপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেওয়া হবে।

এএইচ/