ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখার ৪ উপায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:১৪ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০৪:২৭ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২০ সোমবার

ওজন কমাতে বা ওজন নিয়ন্ত্রণে কী করবেন তা ভাবছেন? বেশ কিছু ভুলে আমাদের ওজন কমে না। চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে কমাবেন ওজন-

আমরা হয়ত বলছি যে ওজন কমাতে চাই। কিন্তু  আসলে আমরা ওজন নয় চর্বি গলাতে চাই। চর্বি গলানোর প্রধান বাধা হচ্ছে ইনসুলিন। ইনসুলিনের কাজ হচ্ছে লাইপোজেনেসিস করা। অর্থাৎ চর্বিটাকে জমিয়ে রাখা। যাতে জরুরি মুহূর্তে আমরা এই চর্বি দিয়ে চলতে পারি। আমরা খাবারটা এমনভাবে খাব যেন ইনসুলিনটা কম থাকে। তাই খালি পেটে যদি আপনি ব্যায়াম করেন, তাহলে এই চর্বিটা গলতে আর বাধা নেই। কারণ ইনসুলিনটা তখন আর থাকছে না। তখন শরীর জমানো চর্বিটা গলাতে পারে।

এমন খাবার খেতে হবে, যেখানে শর্করার পরিমাণ কম থাকবে। আর আমিষের পরিমাণ থাকবে ২০ শতাংশ। আর উপকারী চর্বি থাকবে ৭০ শতাংশ। 

তখন শরীর কী করবে, আগের জমে থাকা চিনিগুলো সে খরচ করে ফেলে। আগে জমে থাকা গ্লাইকোজেনগুলো সে খরচ করে ফেলে। এবার সে বাধ্য হয় চর্বি গলানো শুরু করতে। 

শরীরকে তৈরি করতে হবে চর্বি গলানোর জন্য। আমরা কখনও আমিষ বেশি খেতে পারব না। তখন শরীরে ইনসুলিন বেড়ে যাবে। ধরেন আপনি একটু ডিম খেলেন, একটু মাছ খেলেন, একটু শাক-সবজি খেলেন, একটু বাদাম খেলেন, এই একটা ডায়েট আপনার থাকল। 

আর আমরা বলি দুই বেলা খেতে। সকালের খাবারটা একটু দেরি করে ১১টার দিকে। আর রাতের খাবারটা সন্ধ্যার ৭টার দিকে খেয়ে নিবেন। এতে কী হবে? শরীরের চর্বি গলা শুরু করবে। আপনি কীভাবে বুঝবেন? দেখবেন ক্ষুধা লাগছে না। তখন না খেয়ে শরীরকে সুযোগ করে দিতে হবে চর্বি গলানোর জন্য। তখনও যদি আপনি চর্বি খেতে থাকেন তখন কিন্তু হবে না।   

সূর্যের আলো সরাসরি গায়ে লাগালে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। আমরা অনেকে চাই পেটের মেদ কমাতে। এটি কমাতে ভিটামিন ডি সরাসরি প্রভাব ফেলে।

এছাড়া, ওজন নিয়ন্ত্রণে ৪টি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। 

১. বিশ্রাম বা ঘুম
২. সঠিক এবং ভালো খাবার
৩. উপবাস করা
৪. ব্যায়াম

দ্রুত ওজন কমাতে বেশ কিছু জনপ্রিয় কিটো ডায়েট রয়েছে। কিন্তু এটা কতটা স্বাস্থ্য সম্মত?

কিটো আসলে কোনও ডায়েট না। এটা একটি শারীরিক প্রক্রিয়া। কিন্তু কিটোর ভিতরে খারাপ কিটো আছে আবার ভালো কিটোও আছে। অনেকে মনে করে ইচ্ছা মতো আমিষ, মাছ, মাংস, ভাজা-পোড়া খাবো। এটা হচ্ছে খারাপ কিটো। আর আমরা বলছি আপনি শুধু উপকারি চর্বি খাবেন। আমিষকে সীমিত রাখতে হবে। অনেকে মনে করছে যে অনেক আমিষ খাওয়া যাবে। ২০ শতাংশ এর বেশি আমিষ খেলে আপনার কিডনির ওপর চাপ পড়বে। পরবর্তীকালে কিন্তু আপনি এত চর্বি আর আমিষ খেতে পারবেন না। তখন শরীরের ভিতরের চর্বিটা গলতে থাকবে। এক সপ্তাহ পরে যদি আপনি এত চর্বি খান তাহলে ভেতরেরগুলো গলবে কী করে? স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে ডায়েট শুরুর আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

একে//