ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

করোনাভাইরাস: স্বাস্থ্য অধিদফতরের হটলাইন চালু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৯ এএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ০২:২২ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২০ মঙ্গলবার

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ ছাড়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় তথ্য ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য হটলাইন চালু করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

প্রয়োজনে আইইডিসিআর-এর নিম্নোক্ত হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে। নম্বরগুলো হলো-০১৯৩৭১১০০১১, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯২৭৭১১৭৮৪ ও ০১৯২৭৭১১৭৮৫। এসব নম্বরে ফোন করলে জানা যাবে করোনাভাইরাসের স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা এক ধরনের সংক্রামক ভাইরাস। ভাইরাসটি পশু/পাখি হতে সংক্রমিত হয়ে থাকে। চীনসহ পৃথিবীর কয়েকটি দেশে বর্তমানে ২০১৯-nCoV (মার্স ও সার্স সমগোত্রীয় করোনা ভাইরাস) এর সংক্রমক দেখা যাচ্ছে। আপনি যদি এসব দেশ ভ্রমণ করে থাকেন এবং ফিরে আসার ১৪ দিনের মধ্যে জ্বর (১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট/৩৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এর বেশি), গলা ব্যাথা, কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে আপনার দেহে ২০১৯-nCoV ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি অতিসত্ত্বর সরকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন। 

বিজ্ঞপ্তিতে আর বলা হয়, জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত চীন ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন এবং প্রয়োজন ব্যতীত এ সময়ে বাংলাদেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করুন। অত্যাবশ্যকীয় ভ্রমনে সাবধানতা অবলম্বন করুন। 

 

করোনাভাইরাস কিভাবে ছড়ায়

১. আক্রান্ত ব্যক্তির হাচি কাশির মাধ্যমে।
২. আক্রান্ত ব্যাক্তিকে স্পর্শ করলে।
৩. পশু-পাখি বা গবাদি পশুর মাধ্যমে। 

করোনাভাইরাস প্রতিরোধের উপায়

১. সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া।
২. হাত না ধুয়ে চোখ, মুখ ও নাক স্পর্শ না করা।
৩. হাঁচি কাশি দেয়ার সময় মুখ ঢেকে রাখা। 
৪. অসুস্থ পশু/ পাখির সংস্পর্শে না আসা।
৫. মাছ, মাংস ভালভাবে রান্না করে খাওয়া। 

প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৬ জন।  এছাড়া চীনজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়েছে। 

চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে উৎপত্তি হওয়া এ ভাইরাস ইতোমধ্যে রাজধানী বেইজিংসহ ২৯টি প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। 

এছাড়াও জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, নেপাল, ফ্রান্স, সৌদি আরব, কানাডাসহ অন্তত ১২টি দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে।

গত ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা দেখা দেয়।

২০০২ -২০০৩ সালে চীনে সার্স (সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই সময় প্রায় ৮০০ জন মারা গিয়েছিলেন। করনো ভাইরাস নিয়েও সেরকম আশঙ্কা করা হচ্ছে।