ঢাকা, শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

৫ বাংলাদেশিকে ফেরত দেয়নি বিএসএফ,অনুপ্রবেশের ভিডিও প্রকাশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৪ পিএম, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শনিবার

রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া পাঁচ বাংলাদেশিকে ফেরত দেয়নি ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ নিয়ে শনিবার বিকেলে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে ৩৫ মিনিটের পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে আটককৃত ৫ বাংলাদেশীকে মুর্শিদাবাদ থানায় হস্তান্তর করেছে বলে বিএসএফ জানিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা দায়ের করার কথাও জানিয়েছে বিএসএফ বলে বিজিবি জানায়। 

এছাড়াও বিএসএস সদস্যরা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের বিষয়েও দুঃখ প্রকাশ করে ভুল শিকার করেছেন বলে জানিয়েছেন বিজিবির রাজশাহীর ১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ। 

তিনি বলেন, নির্মল চরের ৫০/৪ এস সীমান্ত পিলারের কাছে এ পতাকা বৈঠক আয়োজন করা হয়। বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের খরচাকা বিওপি কমান্ডার ও ভারতের নির্মল চর ৩৫ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

তিনি বলেন, বিকেল ৪টায় সময় নির্ধারণ থাকলেও পতাকা বৈঠক শুরু হয় ৫টায়। ৩৫ মিনিট চলে এ বৈঠক। বৈঠকে বিএসএফ জানিয়েছে, ভারতে অনুপ্রেবেশের মামলা দিয়ে তাদের মুর্শিদাবাদ থানায় দেয়া হয়েছে। আইনী পক্রিয়ায় তাদের ফেরত নিতে হবে। তবে সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী কাউকে গ্রেপ্তার করে মামলা দিলে বিজিবিকে আগে জানানোর নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বিএসএফ আগে সেটি জানায়নি। এ জন্য বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করে এমন ভুল আর হবে না বলে জানিয়েছে। 

এদিকে, পাঁচজনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘন্টা খানেক পর বাংলাদেশের দেড় কিলোমিটার ভিতরে প্রবেশ করে বিএসএফের আরও চারজনকে ধার চেষ্টা প্রসঙ্গে বিজিবির ১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বলেন, এ বিষয়টি নিয়েও সামন্য আলোচনা হয়েছে। তারা দুঃখ প্রকাশ করে ভুল শিকার করেছে। তবে এ বিষয়টি বিজিবির উচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে। এ নিয়ে বিজিবি ও বিএসএফের উচ্চ পর্যায়ে বৈঠক হবে বলেও জানান এই বিজিবি কর্মকর্তা।

শুক্রবার বিকেলে গোদাগাড়ী উপজেলার খরচাকা সীমান্ত থেকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে একজনকে নির্যাতন করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। বিএসএফের হাতে আটককৃতরা হলেন, রাজন হোসেন (২৫), সোহেল রানা (২৭), কাবিল হোসেন (২৫), শাহীন আলী (৩৫) ও শফিকুল ইসলাম (৩০)। পবা উপজেলার গহমাবোনা গ্রামে তাদের বাড়ি। পদ্মার চরে তারা গরু চরাতে গিয়েছিলেন। 

এই পাঁচজনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘন্টাখানেক পর বিএসএফ সদস্যরা একটি স্প্রীড বোড নিয়ে পদ্মার বাংলাদেশ সীমানার দেড় কিলোমিটর ভিতরে চলে আসে। তারা খরচাকা চর থেকে আরও চারজন বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবি সদস্যরা গিয়ে ওই চারজনকে বিএসএফের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় বিজিবির সঙ্গে বিএসএফ সদস্যদের বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘঠে। এ ঘটনার মোবাইলে ধারণ করা একটি ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। 

সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিএসএফ সদস্যরা চার থেকে চারজনকে ধরে নিয়ে আসে। এ সময় ইঞ্চিন চালিত একটি নৌকা নিয়ে খরচাকা বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা গিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নেয়।

পবার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলে রেজবী আল হাসান মুঞ্জিল বলেন, মাঝে মধ্যেই বিএসএফ বাংলাদেশের মধ্যে চলে আসে। বিষয়টি সাথে সাথে বিজিবিকে জানায় স্থানীয়রা। পরে বিজিবি গেলে তারা আবার চলে যায়। 

কেআই/আরকে