করোনা আক্রান্ত যাত্রী সাড়ে ৩ হাজার আরোহীকে বিপদে ফেললেন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:২৯ পিএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বুধবার | আপডেট: ০১:৩০ পিএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বুধবার

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একব্যক্তি ভ্রমণকারীদের তালিকায় রয়েছে, আর তাই বিলাসবহুল একটি জাহাজের ক্রসহ ৩ হাজার ৭০০ আরোহীকে কোয়ারেনটাইন করে রাখা হয়েছে। জাহাজটি এখন অবস্থান করছে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে। সেটিকে সেখানেই অবস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যেই মুহূর্তে জানা গেছে যে, সংক্রমনের শিকার এক যাত্রী টোকিও থেকে বিলাসবহুল প্রিন্সেস ক্রুজ জাহাজে উঠেছিলেন এবং কয়েকদিন ছিলেন। সেই মুহূর্ত থেকে সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হয়, আর যাত্রীদেরও নিরাপদ দূরত্বে কোয়ারেনটাইন করে রাখা হয়। যা সিএনএন সূত্রে জানা যায়।
এর পরই জাপান সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী চিকিৎসকরা ওই জাহাজের প্রত্যেক আরোহীর রুমে রুমে গিয়ে তাদের শরীরের তাপমাত্রা মাপছেন ও অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে আসছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জাহাজের ১০ যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। যাদের প্রত্যেকের বয়স ৫০-এর উপরে। তবে এখনও শতাধিক পরীক্ষার ফল হাতে আসেনি।
বিলাসবহুল এই প্রমোদ জাহাজে ২ হাজার ৬৬৬ জন অতিথি এবং ১ হাজার ৪৫ জন ক্রু রয়েছেন। জাহাজ কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৮০ বছর। গত ১০ জানুয়ারি চীন ভ্রমণ শেষে ফেরেন তিনি। তবে কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাননি। তবে এটাও ঠিক যে তিনি চীনে ভ্রমণের সময় সামুদ্রিক খাবারের দোকানেও যাননি। হয়তো তিনি অন্য কারও দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন।
গত ১৭ জানুয়ারি তিনি জাপানের টোকিও পৌঁছেন। ১৯ জানুয়ারি থেকে কাশিসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তার। ২০ জানুয়ারি ইয়োকোহামা বন্দর থেকে জাহাজটিতে ওঠেন তিনি। এরপর ২৫ জানুয়ারি জাহাজ থেকে হংকংয়ে নামেন। ৩০ জানুয়ারি জানা যায় যে, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।
ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে চীনে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিশ্বের ২৫টি দেশে ছড়িয়েছে এই প্রাণঘাতি ভাইরাস। যাতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজারের বেশি মানুষ। আর এখন পর্যন্ত ৪৯০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুইজন বাদে বাকিরা সবাই চীনে মারা গেছেন।
এএইচ/