ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৩ মে ২০২৫,   বৈশাখ ৩০ ১৪৩২

স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও অনেকটাই অরক্ষিত শহীদ মিনার

প্রকাশিত : ০১:০৮ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০১:০৮ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ বৃহস্পতিবার

স্বাধীনতার ৪৫ বছর পরও অনেকটাই অরক্ষিত শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকে আবর্জনা। মূল বেদীতে চলে জুতা পায়ে অবাধ চলাচল, শুকানো হয় জামা-কাপড়। আশপাশ ব্যবহৃত হয় ছিন্নমূল মানুষের ঘুমানোর জায়গা হিসেবে। অথচ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষায় রয়েছে আদালতের আদেশ। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এমন হচ্ছে বলে মনে করে সাধারণ মানুষ। প্রতিবছর ২১শে ফেব্র“য়ারি ভোরে এভাবেই নগ্ন পায়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যায় আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা। গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে ভাষা শহীদদের। তবে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দু’-একদিন আগে- পরে ছাড়া সারাবছরই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থাকে অরক্ষিত। আশপাশের বাসিন্দারা জানান, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা মাদকসেবী থেকে শুরু করে ভাসমান মানুষের আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। এতে শহীদ মিনার এলাকার পবিত্রতা ও মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের প্রবেশপথে মূল বেদিতে উঠার বিধিনিষেধ সংবলিত সাইনবোর্ড থাকলেও, সেখানে অবাধে চলাফেরা করে জনসাধারণ। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দুই বছর আগে সুপ্রিম কোর্ট তিনজন নিরাপত্তাকর্মী ও তিনজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগের নির্দেশ দেন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে। তবে, সেখানে গিয়ে পাওয়া যায়নি কাউকেই। শুধু একটি দিনের জন্য নয়, বছরের প্রতিটি দিনই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থাকুক পরিচ্ছন্ন- সবার চাওয়া এটাই।