ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু আঘাত করতে চেয়েছিলেন ‘ঘুণে ধরা’ এই সমাজটাকে

এ কে আব্দুল মোমেন

প্রকাশিত : ০২:৪৯ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৩:৩৪ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শনিবার

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কেবল একটি নাম নয়। একটি প্রত্যয়, একটি আদর্শ, একটি দর্শন, একটি দীর্ঘ সংগ্রাম, নির্যাতিতের আলো, মানুষের ভালোবাসা, বাংলার সবুজ জমিনে এক সাগর রক্ত, একটি সফল বিপ্লব, অতঃপর- একটি দেশ গড়ে তোলার সংগ্রাম। কিন্তু না...। ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়ির সিঁড়িতে বাঘের মতো গর্জন করে বিশ্বাস ঘাতকের কাপুরুষোচিত আচরণে বুলেট বুক পেতে নিলেন। সিঁড়িতে এখনো লেগে আছে ছোপ-ছোপ রক্তের দাগ। দেয়াল বুলেটবিদ্ধ। ন্যুনতম বিবেক সম্পন্ন যে কোনো মানুষ সেই উষার আজান লগ্নে স্তম্ভিত হয়েছেন, হতচকিত হয়েছেন। হয়েছেন বাকরুদ্ধ।

সেদিন শিশু রাসেলের আর্তনাদ, আহাজারি আজ স্মরণ করে স্মৃতির ঝাপি আরো মেঘ ভারাক্রান্ত করব না। কারণ ওই যে, চেগুয়েভারা বলে গেছেন ‘বিপ্লবীর মৃত্যু আছে, বিপ্লবের মৃত্যু নেই’। পেশাগত জীবনে স্বাধীনতা সংগ্রাম, সরকারি চাকরি, কর্পোরেট হাউস পরিচালনা, অর্থনীতি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পর কূটনৈতিক জীবনে প্রবেশের কারণে সমাজ-দর্শন, রাষ্ট্রচিন্তা আর কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা- এসব নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাবনা মাঝে মধ্যেই আমাকে তাড়িত করে। বঙ্গবন্ধুকে ‘পোয়েট অব পলিটিক্স’ রাজনীতির জাদুকর, ফিদেল ক্যাস্ট্রোর ‘হিমালয়’ এসব নানা বিশেষণে ভূষিত করা যায়। কিন্তু আমার ভাবনার বিষয় আজও অজানা- তিনি বেঁচে থাকলে কেমন বাংলাদেশ গড়তেন।

আমি খুঁজে ফিরি তাঁর সেই স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ ‘সোনার মানুষ’। কল্পনার তুলিতে আমাদের মতো সাধারণের সেই ‘সোনার বাংলার’ ক্যানভাস তুলে ধরতে অনুপুঙ্খ ভাবনালোকের অসীম দৃষ্টি তার মতো সহজ-স্বভাবজাত নয়। তাই তাঁর দৃষ্টিতে, ভাব-ভাবনায়, আকাঙ্ক্ষা, বাসনায় আর বক্তব্যে দেখব বাংলা নামের দেশটিকে তিনি কেমন করে সাজাতে চেয়েছিলেন তাঁর মানস প্রকৃতির পরিচয়, তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে, সম্মানিতকে সম্মান দেয়া, গরিবের পাশে দাঁড়ানো, ন্যায়ের স্বপক্ষে দাবি তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত, পরিপক্ক রাজনৈতিক দর্শন ও মানুষের ভালোবাসা মুজিব চরিত্রের প্রতিপাদ্য।

মুজিব থেকে সজিব বাংলার ইতিহাসে চরম দুঃসময়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বাংলার হাল ধরেছেন তাঁর আদর্শ ও রক্তের উত্তরাধিকার বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলার মানুষের ভাগ্যাকাশের কালো মেঘ কাটিয়ে তাঁর এই অগ্রযাত্রার ঠিকানা জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণ। জননেত্রীর সেই সংগ্রামে তাঁর প্রত্যেক কর্মীকে নিজেকে আদর্শ সৈনিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। যে কথা বঙ্গবন্ধু বলে গেছেন ‘সোনার বাংলা গড়তে চাই সোনার মানুষ’। সোনার মানুষ আজ বড় প্রয়োজন। 

বস্তুত বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার রূপ জানতে গবেষণার বিকল্প নেই। একই সঙ্গে ছাত্রজীবন থেকে রাজনৈতিক সংগঠক, সংগ্রামী শেখ মুজিব থেকে রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুর সারাজীবনের বক্তৃতাসমূহ শব্দে-বর্ণে আত্মস্থ করা প্রয়োজন। কারণ তিনি দেশ বিভাগের পর ‘৪৭-র কোনো এক বিকেলে বলেছেন ‘পাকিস্তানিদের সঙ্গে একসঙ্গে থাকা হবে না’। ৭০’র ৫ ডিসেম্বর তিনি ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি প্রথম উচ্চারণ করেন।

ইউনেস্কো চার্টারের সূচনা বক্তব্যের প্রথম লাইনটি হচ্ছে- 'War begings in the mind of a man' বঞ্চনা ও নির্যাতন বন্ধে তিনি ষাট দশকে দাবি তুলেন ছয়-দফার বাংলাদেশ শ্মশান কেন। ঠিক একইভাবে বঙ্গবন্ধুর মনেই প্রথম রেখাপাত ঘটে ‘বাংলাদেশ’ নামের দেশ গঠনের যার জন্যে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা শুরু হয়। অনেক দিনের কাঙ্ক্ষিত সন্তানকে মানুষ লালন পালন করে তার সমস্ত অস্তিত্ব দিয়ে। বঙ্গবন্ধু বোধ হয় তাঁর বাংলাদেশকে ঠিক তেমন করেই সাজাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বড় অসময়ে ষড়যন্ত্রের অক্টোপাস তাঁকে আমাদের কাছ থেকে কেঁড়ে নেয়। কিন্তু রেখে যান তার জীবনাদর্শ এবং সমাজ-রাষ্ট্র দর্শন। যেখানে তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী।

এই রেখায় বঙ্গবন্ধুর সারা জীবনের বক্তব্যের সারাংশটুকুও তুলে ধরা কঠিন। হয়ত দু’চারটি কথা বলা যাবে। তাঁর বক্তব্যে যাওয়ার আগে যেটি আজকের উপলব্ধির বিষয় সেটি হচ্ছে- তিনি যা বিশ্বাস করতেন তাই বলতেন। আর যা বলতেন তাই করতেন। তাঁর বিশ্বাস এবং বলার মধ্যে পার্থক্য থাকত না। এমনকি তাঁর আত্মবিশ্বাস তাঁর সঙ্গে কখনো প্রবঞ্চনাও করেনি। যে কারণে তাঁর নেতৃত্বের দৃঢ়তা ছিল ইস্পাত সম। যার প্রমাণ- ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়েও তিনি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে ভয় পাননি, বরং সেখানেও গেয়েছেন তাঁর প্রতি বাংলার মানুষের ভালোবাসার জয়গান।

মৃত্যুর পরেও যেন তাকে বাংলার মাটিতে পাঠিয়ে দেয়া হয় সে কথাই বলেছেন। এমনতর ভালোবাসা সহজ ব্যাপার নয়। কেবল দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি গভীর মমত্ববোধ, অগাধ দেশভক্তি ও বিশ্বাস থেকেই তা বলা যায়। বঙ্গবন্ধুর হৃদস্পন্দনে অনুক্ষণ দেশ প্রেমের অনুরণের কারণেই সততা ও নির্ভেজাল হৃদয়ের স্পন্দনে তিনি সত্য যত কঠিন, যত নির্মম হোক অকপটে বলতে পেরেছেন। সত্য বলতে কাউকেও ছাড় দেননি। তাঁর সারাজীবনের বক্তব্য নয়, কেবল ১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চে দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি ঘোষণার যে বক্তব্য সেটি হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্র আর সেনা ও সামরিক শাসনে রোগাক্রান্ত বাংলাদেশের আরোগ্য লাভের মৌলিক দিক দর্শন। 

এই বক্তব্যেই তিনি বলেছিলেন, ‘ঘুণে ধরা এই সমাজটাকে’ আঘাত করতে চাই। এই উপলব্ধি আজও চিরসত্য। একেবারে সংক্ষেপে দু’চারটি কথা বললেই বোঝা যাবে কেমন বাংলাদেশ জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন। দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি ঘোষণার বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমার কৃষক দুর্নীতিবাজ না। আমার শ্রমিক দুর্নীতিবাজ না। তাহলে দুর্নীতি করে কারা, ব্ল্যাকমার্কেটিং করে কারা? স্মাগলিং করে কারা? হোর্ডিং করে কারা?’ উত্তরে তিনি সমাজে শিক্ষিতদের একটি অংশের কথা বলেন।

এই বক্তব্যের অপর অংশে বলেন, ‘আপনি ডাক্তার সাহেব, ইঞ্জিনিয়ার সাহেব, কার টাকায় এত সাহেব। আমার জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় সব সাহেব। আমার গরিব জনগণকে সেবা দিন।’ তিনি সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমার রিক্সাওয়ালা, গরিব শ্রমিকদের দেখলে তাচ্ছিল্য করে বলেন- ওই ব্যাটা বস। ওদেরকে সম্মান করে কথা বলেন। ওদের ঘামের রোজগারে আপনাদের মাসের মাহিনা হয়। 

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্রের জন্য কোটায় বরাদ্দ প্রাপ্ত কাগজ ব্ল্যাক মার্কেটে বিক্রি করবেন, রাতভর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে মদ খাবেন আর সকালে এসে আমাকে বিবেকের কথা বলবেন, আমি এমন বিবেক চাই না।’ তিনি আরো বলেন, ‘নতুন’ সিস্টেম ডেভালাপ করছি। গ্রামে-গ্রামে কো-অপারেটিভ হবে। সরকার সার, বীজ, সেচ, কীটনাশক সবকিছু দেবে। উৎপাদিত সফল তিনভাগ হবে। একভাগ জমির মালিক পাবে, আরেক ভাগ পাবে ফসল আবাদকারী কৃষক, আরেকভাগ পাবে সরকার’। কিন্তু তিনি যেভাবে তাঁর প্রিয় বাংলাকে সাজাতে চেয়েছিলেন তা করতে দেয়া হয়নি।

১৯৭২ (১৯ আগস্ট) সালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলনে ভাষণের একাংশে তিনি বলেন, ‘শোষণহীন সমাজ, সুষম বণ্টন চাই। সম্পদের মালিক জনগণ, তোমরা তা বিশ্বাস কর। এ লক্ষ্য পৌঁছাবার কোনো শর্টকাট রাস্তা নেই।’ সেদিনের প্রদত্ত ভাষণে তিনি আরও বলেন, ‘আমি ৪৬ জন এমপিএ (গণপরিষদের সদস্য)কে পার্টি থেকে বহিষ্কার করেছি। অন্য কোনো পার্টি জীবনে তা করে নাই। যারা বড় বড় কথা বলে, তাদের আয়নার দিকে চেয়ে কথা বলতে হবে। না হলে অন্যায় হবে। সে জন্য আত্মসমালোচনা করে নিও। বাঙালিরা স্বাধীনতা ভোগ করে নাই বহুকাল, ... ছাত্র ভাইয়েরা ও বোনেরা, তোমাদের কাছে আমার আবেদন রইল, মানুষের মতো মানুষ হও। স্বাধীন দেশের নাগরিক হও। মাথা উঁচু করে দাঁড়াও। মিথ্যা, অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও।’ ১৯৬৯ সালের ৩০ ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রদত্ত সংবর্ধনার জবাবে তিনি বলেন,-

‘এই বলে মোর পরিচয় হোক,
আমি তোমাদেরই লোক।’

জাতির পিতাকে হত্যার নেপথ্য কারণ, হত্যাকারীদের সংগঠিত করা, হত্যাকাণ্ড পরবর্তী কর্মকাণ্ড কম বেশি সবারই জানা। কিন্তু ৭২ থেকে ৭৫’র পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর শাসনকাল নিয়ে যে অপপ্রচার, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ষড়যন্ত্র আর তাদের বাংলাদেশিয় দোসররা আজও অনেকাংশে গাটবাঁধা। যদিও সেদিনের গণবাহিনীর নেতাদের অনেকের ভুল ভেঙেছে। বিভ্রান্তির অপচয়ে দেশকে তার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উল্টো রথে চড়িয়ে দীর্ঘদিন পথ চলার পর আজ তারা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছেন। 

কিন্তু দীর্ঘ সামরিক-স্বৈরশাসন আর গণতান্ত্রিক অপশাসনে ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়া, টেন্ডারে কাজ দেয়া, ক্যান্টনমেনট থেকে বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতা দখলের পর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠ-পোষকতায় সুবিধাবাদী শ্রেণি তৈরি করে রাজনৈতিক দল গঠন করাসহ ক্যু, পাল্টা ক্যুতে সামাজিক মূল্যবোধের যে মারাত্মক অবক্ষয় ঘটেছে তার বিরুদ্ধে এক চরম ও চূড়ান্ত সংগ্রামে লড়তে হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

সমাজ পরিবর্তনের সংগ্রাম সহজ নয়। আর ব্যক্তিত্ববানদের আত্মাভিমান দূর থেকে ভালোবাসা আর চাটুকারদের হুমড়ি খেয়ে পড়ার রীতি গড়ে ওঠা দেশে সেটি আরও কঠিনতর। সমালোচকদের দৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধুর উদারতাকে যারা দুর্বলতা কিংবা প্রশাসনিক ব্যর্থতা বলে অপপ্রচার চালান তাদের জন্য দুঃসংবাদ জননেত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে কঠিন থেকে কঠিনতর হতে সময় নেন না। সময় এবং প্রয়োজন এই দুটির সঙ্গতি তৈরিতে তিনি অতুলনীয়।

সে কারণেই অসাম্প্রদায়িক, শোষণহীন, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় আমরা তার নেতৃত্বে আশাবাদী। বঙ্গবন্ধুর মতো তার কন্যা গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্যাতিতের বন্ধু, গরিবের আশা ও আশ্রয় এবং জাতির জনকের কাঙ্ক্ষিত আলোকিত সমাজ ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার সংগ্রামে বজ্রকঠিন প্রত্যয়ী ভূমিকা রাখছেন।

২০১৫ সালের মধ্যে সহস্রাব্দের লক্ষ্যবস্তু অর্জন করেই তিনি ক্লান্ত নন, তিনি ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে ২০৪১ সালের মধ্যে একে একটি উন্নত দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করার দৃঢ় প্রত্যয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্নকে কটাক্ষ করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার এক সময় বলেছিলেন, ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ যার কোনো ভবিষ্যত নেই- তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে বাংলাদেশ আজ ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোর উন্নয়নের মডেল’ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ‘স্ট্যানডার্ড বেয়ারার’ হিসাবে সুপরিচিত যাকে গোল্ডম্যান সেকস ‘নেক্সট এলিভেন’ (N-11) হিসাবে বিবেচনা করছে।

এ লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে আজ প্রয়োজন দেশের সকল নাগরিকের দলমত নির্বিশেষে একাত্ম হয়ে কাজ করা এবং তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন এবং শেখ হাসিনার প্রচেষ্টা বাস্তব হবে, সার্থক হবে এবং বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বের মধ্যে শ্রেষ্ঠ জাতি হিসাবে সসম্মানে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আপনাদের ত্যাগ ও প্রচেষ্টা সার্থক হোক।

১৫ই আগস্ট ২০১৪, নিউইয়র্ক

(বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি গ্রন্থ)

এএইচ/