ঢাকা, শনিবার   ১৮ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

পিণ্ডিতে দুর্দশার দিনে বিসিএলে রানোৎসব

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:১২ পিএম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শুক্রবার

সেঞ্চুরির পর মেহেদি ও এনামুলের উদযাপন

সেঞ্চুরির পর মেহেদি ও এনামুলের উদযাপন

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানি পেসারদের সামনে রীতিমত ধুঁকেছে তামিম-মোমিনুলরা। যাতে ২৩৩ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। টাইগারদের এমন দুর্দশার দিনে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) রান উৎসব করেছে ব্যাটসম্যানরা।

ঘরোয়া লিগ বিসিএলে এদিন এক ইনিংসেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনজন। রীতিমত রানোৎসবে মেতে ওঠেন এনামুল হক বিজয়, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদি হাসানরা। যাতে বিসিএলে দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে শুক্রবার ম্যাচের প্রথম দিনে ৬ উইকেটে ৪৪৩ রান তুলেছে পূর্বাঞ্চল।

দলটির হয়ে সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনজন। তার মধ্যে দেড়শোর্ধ্ব রানের ইনিংসও আছে একটি। ২২০ বল খেলে ১৯ চার ও তিন ছয়ে ১৫৫ রান করেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান। সেঞ্চুরি পেয়েছেন ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসানও।

১৫৫ বল খেলে ১৪টি চার ও ৪টি ছয়ে ১২৯ রান করেন বিজয়। আর স্পিনার থেকে হঠাৎ অলরাউন্ডার বনে যাওয়া মেহেদি হাসান সাত নম্বরে নেমে মাত্র ৮৫ বল খেলে করেছেন ১১২ রান। মেহেদির ইনিংসে ছিল ১০টি চারের মারের সঙ্গে ৮টি ছক্কা।

পূর্বাঞ্চলের ব্যাটসম্যানদের তাণ্ডবের দিনে দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে বোলিংয়ে আলাদাভাবে আলো ছড়িয়েছেন রেজাউর রহমান। ১৩ ওভার বোলিং করে ৭৯ রান খরচায় তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন এই পেসার। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন সাকলাইন সজীব ও হাসান মাহমুদ।

অন্যদিকে, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বিসিএলের অপর ম্যাচে তাসকিন আহমেদের আগুনে বোলিংয়ের সামনে মাত্র ১৭০ রানেই গুটিয়ে যায় মধ্যাঞ্চল। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ৭০ রান করেন রাকিবুল হাসান। এছাড়া বলার মত ২৫ রান আসে আরাফাত সানির ব্যাট থেকে। 

জাতীয় দলে ফিরতে উন্মুখ তাসকিন এদিন ১৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে তিন মেডেনে ৫৪ রান দিয়ে তুলে নেন পাঁচটি উইকেট। এছাড়া সালাউদ্দিন শাকিল ২টি এবং সুমন খান, আরিফুল হক ও এনামুল হক জুনিয়র নেন ১টি করে উইকেট।

জবাব দিতে নেমে বিপদে আছে উত্তরাঞ্চলও। মধ্যাঞ্চলের বোলারদের তোপের মুখে ৭৯ রানেই তিন উইকেট হারায় নাঈম ইসলামের দল। দুই স্পিনার শুভাগত হোম ও আরাফাত সানির সঙ্গে উইকেট তিনটি ভাগ করে নেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।  

তবে দিন শেষে আর কোনও উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান তুলেছে দলটি। অধিনায়ক নাঈম ১৮ রানে এবং ইনজুরি কাটিয়ে খেলায় ফেরা মুশফিক ১ রানে অপরাজিত আছেন। 

এনএস/