ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

চীনকে কোণঠাসা করতেই ‘করোনা’ ছড়ায় আমেরিকা!

নাজমুশ শাহাদাৎ

প্রকাশিত : ১১:৪৭ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শনিবার | আপডেট: ১১:৪৯ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শনিবার

চীনকে কোণঠাসা করতেই ‘করোনা’র ছড়ায় আমেরিকা!

চীনকে কোণঠাসা করতেই ‘করোনা’র ছড়ায় আমেরিকা!

বিশ্ব অর্থনীতিতে একচ্ছত্র অধিপতি হতে যাওয়া চীনকে কোণঠাসা করতেই উহানে করোনা ভাইরাসের উদ্ভব ঘটিয়েছে আমেরিকা। এমনটাই বিশ্বাস করেন রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা। গত ২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটিই জানায় হংকংয়ের জনপ্রিয় অনলাইন ডিমশুম ডেইলি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, উইলিয়াম এবসের মতে, একাধিক রাশিয়ান বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন যে, চীনকে ধ্বংস করার জন্য আমেরিকাই উহান করোনা ভাইরাস তৈরি করেছিল। যাতে পরবর্তীকালে একটি প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন নিয়ে এসে কোটি কোটি ডলার উপার্জন করতে পারে দেশটি।

রাশিয়ান মিডিয়া সূত্রগুলো জানিয়েছে যে, অভিনব এই রোগটি আপাতত 2019-nCoV নামেই পরিচিত। এটি হতে পারে চীনকে নাশ করার জন্য আমেরিকার তৈরি একটি জৈব অস্ত্র। 

তবে, এ অভিযোগগুলো উল্লেখ্যযোগ্য হারে রাশিয়ার মূলধারার মিডিয়াগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে এবং এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থকে অসম্মানিত করতে ভ্লাদিমির পুতিনের প্রচেষ্টাসমূহের অংশ হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।

এদিকে, জনপ্রিয় কমসোমলস্কায়া প্রাভদার প্রতিবেদন অনুযায়ী, “চীনারাও বিশ্বাস করে যে, করোনো ভাইরাসটি আমেরিকানরাই তৈরি করেছে।” এমনকি এটাই প্রমাণ হয় যে, ভাইরাসটি “আমেরিকান গবেষণাগারে জিনগত আকৃতিতেই ছিল।” তাদের দাবি, এখন পর্যন্ত “যে সমস্ত লোক আক্রান্ত হয়েছে তারা সবাই-ই এশিয়ান!” এবং তাদের মধ্যে  “কোনও ইউরোপীয়ান নেই।” 

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রাচীনতম সংবাদ সংস্থা আরআইএ নোভোস্টি জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, "করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়াটা একটা নাশকতা হতে পারে।"

নিকুলিনের বরাত দিয়ে আরআইএ নভোস্টি জানায়, অনুমান করা হচ্ছে যে, মার্কিন কূটনীতিক কর্মীরা "আমেরিকান ল্যাব" থেকে উহানের কাছে একটি বিপজ্জনক কার্গো "হস্তান্তর" করেছেন।

এদিকে, রাশিয়ার লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা এবং জনপ্রিয় প্রবীণ রাজনীতিবিদ ভ্লাদিমির ঝিরিনোভস্কি কয়েকদিন আগে মস্কো রেডিওকে বলেছেন যে, "অবশ্যই" এই প্রাদুর্ভাবের পিছনে আমেরিকানরা ছিল। 

এমনকি, তিনি এও ইঙ্গিত দেন যে, মার্কিন সামরিক বাহিনী যখন ভাইরাসটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য "পরীক্ষার সুযোগ" লাভ করেছে, তখনই দেশটির ফার্মাসিস্টরা কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে নিচ্ছে।

এনএস/