মুজিববর্ষ উদযাপনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫৬ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার | আপডেট: ১১:৫৭ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে.এম.খালিদ। ফাইল ছবি
২০২০ সালকে মুজিববর্ষ, ২০২১ সালকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বর্ষ, ২০৩০ সালকে এসডিজি বর্ষ ও ২০৪১ সালকে উন্নত বাংলাদেশ বর্ষ হিসেবে উদযাপন করতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে.এম.খালিদ।
তিনি জানান, আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়দী বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
রোববার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিলের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী খালিদ সংসদকে এই তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, ইতোমধ্যে গত ১০ জানুয়ারি থেকে মুজিববর্ষের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সংস্কৃতি চর্চা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ৫০৯টি পুরাকীর্তি সংরক্ষণ করা হয়েছে। দেশের মেধা সম্পন্ন সৃজনশীল ও বুদ্ধিভিত্তিক সম্পদ গুরুত্বপূর্ণ আর্কাইভাল ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করা হয়েছে। জাতীয় যাদুঘরের আধুনিকায়ন করা হচ্ছে এবং ভার্চুয়াল গ্যালারী প্রবর্তন করা হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ৭টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব জীবনধারা সম্পর্কে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে ক্ষণ গণনার জন্য জেলা পর্যায়ে ৫০ হাজার এবং উপজেলা পর্যায়ে ২৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে থিম সং নির্বাচনসহ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ২৫টি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন সংস্কৃতিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। এ উপলক্ষে দেশের সব জেলা উপজেলায় ‘তোমাকেই খুঁজছে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
দেশের সব উপজেলায় একটি করে ‘মুজিব মঞ্চ’স্থাপন করা হবে। এছাড়া যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৯ থেকে ২৪ জুলাই “ ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ” এবং বঙ্গবন্ধু ওআইসি ইয়ুথ আর্ট প্রদর্শনী এবং ১৫ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ডিবেট কম্পিটিশনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বর্ষে ই কপিরাইট রেজিষ্ট্রেশন, জাদুঘরগুলিতে ইটিকিটিংসহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। এসডিজি বর্ষে ৫টি চলমান এবং ১৩টি প্রস্তাবিত প্রকল্প রয়েছে।
এসি