ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

করোনার নতুন নাম কোভিড-১৯

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০২ এএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বুধবার | আপডেট: ০৯:০৭ এএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বুধবার

নতুন উপসর্গ নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী করোনা ভাইরাসটি অবশেষে নাম পেয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত রোগের নামকরণ করেছে কোভিড-১৯। করোনার কো, ভাইরাসের ভি, ডিজিজের ডি ও উৎপত্তিকাল মিলে হয়েছে নতুন এই রোগের নাম। কিছুদিন ধরে বিজ্ঞানিরা এই ভাইরাসটির নাম দেওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেডরস অ্যাধানম গণমাধ্যমকে করোনা ভাইরাসের নতুন নামের কথা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সংস্থাটির টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেও আনুষ্ঠানিকভাবে নামটি ঘোষণা করা হয়।

জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিজি সাংবাদিকদের বলেন, নতুন এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগের একটি নাম আমরা পেয়েছি এবং সেটি হচ্ছে কোভিড-১৯। তিনি বলেন, এই নামটি নির্ধারণের আগে আমাদের ভাবতে হয়েছে কোনো ভৌগোলিক এলাকা, কোনো ব্যক্তি বা প্রাণীর নামের সঙ্গে যেন এর মিল না থাকে। পাশাপাশি দেখতে হয়েছে নামটি লোকজন কত সহজে উচ্চারণ করতে পারে সে বিষয়টিও। 

করোনা থেকে নেওয়া হয়েছে CO, ভাইরাস থেকে VI, রোগের ইংরেজি ডিজিজ থেকে নেওয়া হয়েছে D এবং ২০১৯ সালে বিস্তার শুরু হওয়ায় সঙ্গে হাইফেন দিয়ে যুক্ত করা হয়েছে 19।

টেডরস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেন, নির্ধারিত নামকরণের মাধ্যমে হয়তো রোগটির ছড়িয়ে পড়া রোধ করা সম্ভব হবে না। তবে পরবর্তী সময়ে নতুন কোনো করোনা ভাইরাসের আক্রমণ হলে তার বিরুদ্ধে সচেতনা সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। 

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে প্রথম শনাক্ত করা হয় রোগটি। এরইমধ্যে এই রোগে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। সংক্রমিত হয়েছেন ৪৩ হাজারের বেশি মানুষ।

করোনাভাইরাস শব্দটি দিয়ে মূলত ভাইরাসের একটি বিশেষ গোত্রকে বোঝায়। এটি কোনো রোগের নাম নয়। তাই গবেষক ও চিকিৎসকরা রোগটির একটি নাম চাইছিলেন। তার ভিত্তিতেই এই নামকরণ।

তবে চীন বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া নামের কোনোটিই বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃতি পায়নি এখনো। এর মধ্যেই এই ভাইরাসজনিত রোগের নাম নির্ধারণ করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 

গত ৩১ ডিসেম্বরে করোনাভাইরাস চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে সর্বপ্রথম শনাক্ত করা হয়। তারপর থেকেই দ্রুততম সময়ে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক বা প্রতিরোধক তৈরি হয়নি। এই ভাইরাসে আক্রান্তরা শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রমণের শিকার হন। 

এএইচ/