লোক ঠকানোর অভিযোগ রয়েছে বহু সমবায় সমিতির নামে
প্রকাশিত : ০২:৪৬ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০২:৪৬ পিএম, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ শনিবার
সমবায়ের নামে লোক ঠকানোর অভিযোগ রয়েছে বহু সমবায় সমিতির নামে। সদস্যদের টাকা আত্মসাৎ করে অনেক সমিতিই রীতিমতো উধাও হয়ে গেছে। সঞ্চয় হারিয়ে পথে বসেছে বহু মানুষ। নাম মাত্র দু-একটি মামলা দিয়েই নিজেদের দায় সারছে সমবায় অধিদপ্তর। জালিয়াতি বন্ধে শক্তিশালী অর্থনৈতিক কমিশন গঠনের পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
সম্মিলিত চেষ্টায় এগিয়ে যাওয়ার মূলমন্ত্র থেকে সপ্তদশ শতকে সমবায় সংগঠনের ভাবনা দানা বাধলেও মূলত: শিল্প বিপ্লবের শুরুর দিকে এ চিন্তা বাস্তব রূপলাভ করে। পরবর্তীকালে বাংলাদেশেও এর বিস্তার ঘটে।
সমবায় অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত সমবায় রয়েছে দুই লাখের মতো। সদস্য সংখ্যা এক কোটিরও বেশী। সমবায়ের নামে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান অতি মুনাফার লোভ দেখিয়ে লাখ লাখ মানুষকে সর্বশান্ত করেছে। বহু সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে সদস্যদের টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগও আছে।
ডেসটিনি, ম্যাক্সিম, আইডিয়াল, রূপালি, সান, শ্রমধারা, বৈশাখী, ফিউচার ডেভলপমেন্ট, চয়নিকা, সেবা, সোনালী মাল্টিপারপাসসহ অসংখ্য কো-অপারেটিভ সোসাইটিসহ অনেকগুলো সমিতির নামে রয়েছে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ।
যে সব সমিতির নামে অনিয়মের অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান ঢাকা জেলা ও বিভাগীয় সমবায় কর্মকর্তা।
সমবায় সমিতি ও মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভের কার্যক্রম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রনে শক্তিশালী অর্থনৈতিক কমিশন গঠনের পরামর্শ দিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ডক্টর সালেহ উদ্দিন আহমদ।
লাখ লাখ মানুষের সঞ্চয় আত্মসাৎকারিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবী ভুক্তভোগীদের।