ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

বাংলাদেশকে জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের হুমকি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৫৭ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ রবিবার

ক্রেইগ আরভিন

ক্রেইগ আরভিন

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে নিজেদের ফাঁদেই পা দিয়ে ডুবেছিল। স্পিনারদের জন্য প্রবল সহায়ক উইকেট বানিয়ে বাংলাদেশ হেরেছিল সিলেট টেস্ট। এবারও হয়তো মিলবে সেই স্পিনিং উইকেট। 

তবে চেনা কন্ডিশনে আরেকবার স্পিন পরীক্ষার জন্য নিজের দল সম্পূর্ণ প্রস্তুত জানিয়ে জিম্বাবুয়ের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের কণ্ঠে হুঙ্কার, ‘আমরা জিততে এসেছি’।

শনিবার বিকেলে বাংলাদেশে পৌঁছেছে জিম্বাবুয়ে দল। নিয়মিত অধিনায়ক শেন উইলিয়ামসের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পেয়েছেন ক্রেইগ আরভিন। দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় পা রেখেই এমন হুমকি দিলেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। 

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে এবারের সফরের একমাত্র টেস্ট। 

দেশের বাইরে বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি খেলে অভ্যস্ত জিম্বাবুয়ে দল। বাংলাদেশ তাই তাদের কাছে ‘দ্বিতীয় দেশ’। সবশেষ সফরে সিলেটে টেস্ট জিতে চমকে দিয়েছিল তারা। চেনা কন্ডিশনে তাই এবারও চমক দিতে চান আরভিন।

বললেন, “অনেক দলই বাংলাদেশে এসে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সংগ্রাম করে। তবে অন্য যে কোনও দলের চেয়ে আমরা এখানে বেশি খেলেছি। এই কন্ডিশন আমাদের পরিচিত। স্পিন একটা বড় ভূমিকা পালন করবে। এ নিয়ে আমাদের সতর্ক প্রস্তুতি নিতে হবে।”

একেবারে হুমকি দিয়েই বলেন, “আমরা এখানে জিততে এসেছি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমরা দারুণ একটা সিরিজ খেলেছি। লম্বা একটা বিরতির পর এটা আমাদের ভালো আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে।”

এদিকে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ছয় টেস্ট খেলে ব্যাটে ৪৭৪ রানের সঙ্গে বল হাতে ২৬ উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। দেশের স্পিন সহায়ক কন্ডিশনে সফরকারী ব্যাটসম্যানদের জন্য বড় হুমকি হতে পারতেন তিনি। 

এবারের সফরে প্রতিপক্ষ দলে এমন একজন খেলোয়াড়ের না থাকাটা নিজেদের জন্য বাড়তি সুবিধা হিসেবে দেখছেন আরভিন। তিনি বলেন, “এটা আমাদের জন্য ভালো যে, সে খেলছে না। অবশ্যই সে বাংলাদেশ দলের অপরিহার্য অংশ।”

একইসঙ্গে নিয়মিত অধিনায়ক শন উইলিয়ামস এবং দুই গুরুত্বপূর্ণ বোলার কাইল জার্ভিস ও টেন্ডাই চাটারা না থাকায় দলে সুযোগ পাওয়া তরুণরা নিজেদের মেলে ধরবেন বলেও আশাবাদী জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক।

আরভিন বলেন, “ফলাফলের বাইরে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা, সেখানেই আমাদের মনোযোগ দিতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে যে, টেস্টের প্রথম দিনেই যেন আমরা ব্যাকফুটে চলে না যাই। দলে কয়েক জন নতুন খেলোয়াড় আছে। তাদের যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখতে আমরা চেষ্টা করছি।”

এনএস/