ঢাকা, বুধবার   ১৪ মে ২০২৫,   বৈশাখ ৩০ ১৪৩২

পদ্মা সেতু’র পরই মেগা প্রকল্প বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর

প্রকাশিত : ১০:১৫ এএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ১০:১৫ এএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ রবিবার

পদ্মা সেতু’র পরই, মেগা প্রকল্প হিসেবে নির্মানে অগ্রাধিকার পাচ্ছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। সব কিছু ঠিক থাকলে, সেতুর পশ্চিমে মাদারিপুরের শিবচর উপজেলার চর জানাজাত-এ স্থান চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে, সম্ভাব্যতা যাচাই ও নকশা প্রণয়নের কাজও অনেকটা এগিয়ে নিয়েছে জাপানি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। প্রযুক্তি পাল্টাচ্ছে, প্রতিনিয়তই আসছে আরো উন্নত-তর যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিশ্বের সব দেশেই, নিজ অর্থনৈতিক অবস্থাকে, উত্তোরোত্তর সমৃদ্ধ করতে জোর দিচ্ছে নিজ নিজ বিমানবন্দরগুলোর আধুনিকায়নে। বিশ্বের সাথে তালি মিলিয়ে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশও। ২০১১ সালে পদ্মাপাড়ের, মুন্সিগঞ্জের আড়িয়ালবিলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আন্তজাতিক বিমানবন্দর নির্মানে এলাকাবাসীর অপত্ত্বির মুখে স্থান নির্বাচনে বিকল্প ভাবতে হয় সরকারকে। চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়ায়, নতুন একটি উপযুক্ত স্থান নির্বাচন। কিন্তু থেমে থাকেনি সরকার। জাপানের নিপ্পুন কোয়ী, নামে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি বদ্ধ হয়ে, চালু রাখা হয় সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের। পদ্মার এপারে, ঢাকার দোহারের চর বিলাস-পুর; মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের কেয়াইন ও একই এলাকার লতব্দি এবং ওপারের, মাদারীপুরের চর জানাজাত-এই চারটি স্থানকে বিবেচনায় নেয়া হয়। চলে সম্ভাব্যতা যাচাই। [কার্ড] পুরোপুরি এর কাজ শেষ না হলেও, চর জানাজাত এই পরীক্ষায়, উৎরে যাবার কথা-ই জানান, সংশ্লিষ্টরা। পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ শেষ করার পরই, বিমানবন্দর নির্মান কাজ শুরুর পরিকল্পনা সরকারের। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রাজধানীর একেবারেই ভেতরে চলে আসার পাশাপাশি ২০২৫ সালের পর চাহিদা পুরোপুরি মিটাতে পারবে না। তাই রাজধানীর বাইরে কিন্তু কাছাকাছি স্থানে বিশ্বমানের বিমানবন্দর তৈরীর বিকল্প নেই বলেই মনে করেন মন্ত্রী।