ঢাকা, বুধবার   ১৪ মে ২০২৫,   বৈশাখ ৩০ ১৪৩২

১৯৭০ এর প্রাদেশিক পরিষদে সর্বকণিষ্ঠ সদস্য ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত

প্রকাশিত : ১০:২৩ এএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ রবিবার | আপডেট: ১০:২৩ এএম, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ রবিবার

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। ১৯৭০ এর প্রাদেশিক পরিষদে সর্বকণিষ্ঠ সদস্য ছিলেন তিনি। স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রনয়ণের সাথেও ছিলেন তুখোড় এই পার্লামেন্টারিয়ান। ষাটের দশকের উত্তাল দিনে বামপন্থী রাজনীতিতে শুরু তাঁর রাজনৈতিক জীবন। এ পর্যন্ত প্রায় সবগুলো সংসদের সদস্য ছিলেন তিনি। বিভিন্ন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। ১৯৪৫ সালের ৫মে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের আনোয়ারাপুর গ্রামে জন্ম বর্ষীয়ান এ নেতার। ১৯৬৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পরে ঢাকা সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি নেন। প্রথম জীবনে কিছুদিন আইন পেশায়ও যুক্ত ছিলেন ছিলেন। ষাটের দশকের উত্তাল দিনগুলোতে বামপন্থীর রাজনীতিতেই শুরু। ছাত্রাবস্থায় ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৬৭ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)এ যোগ দেন। ৭০-এর নির্বাচনে ন্যাপ থেকে জয়ী হন সুরঞ্জিত। বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। পরে তিনি ন্যাপ ছেড়ে গণতন্ত্রী পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৬ ও ১৯৯১- এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে জয়ী হন। পরে অবশ্য তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। প্রথমে আওয়ামী লীগের সদস্য ও পরে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন তিনি। ২০১১ সালে রেলমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সুরঞ্জিত। কিন্তু ব্যক্তিগত সহকারীর দুর্নীতির দায়ে ২০১২ সালের ১৬ এপ্রিল পদত্যাগ করেন। তবে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে তাঁকের দপ্তর বিহীনমন্ত্রী হিসেবে রেখে দেন। দুর্নীতির ঘটনার তদন্তের পর দুদক তাঁকে নির্দোষ ঘোষণা করে। সর্বশেষ তিনি আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। জাতীয় সংসদে আর দেখা যাবে না অভিজ্ঞ এই আইন প্রনেথাকে।