ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে চায় নেপাল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৪৭ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার | আপডেট: ১০:২৩ পিএম, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রী

সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহারে নেপাল সরকার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশ সফররত নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গাওয়ালির সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
 
মন্ত্রী বলেন, নেপালের সঙ্গে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) স্বাক্ষরের বিষয়ে দ্রুত কাজ চলছে। আমরা এফটিএ স্বাক্ষরে একমত হয়েছি। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও চলছে। উভয় দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য সড়ক, নৌ এবং আকাশ পথ চালু করার বিষয়ে কাজ চলছে। এরই জেরে সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে নেপাল। আমরা এ বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছি।

এছারাও বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে নেপালের সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ নেপালে ৩৮.০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে। একই সময়ে আমদানি করেছে ১৮ দশমিক ১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশ এখন পাটজাত পণ্য, ব্যাটারি, তৈরি পোশাক, ঔষধসহ বেশ কিছু পণ্য নেপালে রফতানি করছে। উভয় দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। 

এফটিএ স্বাক্ষরের মাধ্যমে এ বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব মন্তব্য করে মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ৩ ও ৪ মার্চ ঢাকায় বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে সচিব পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে এফটিএ স্বাক্ষর ও উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

এ বিষয়ে নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নেপাল বাংলাদেশকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে থাকে। উভয় দেশের মানুষ ও জীবনযাত্রার মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, নেপাল তারপরই অবস্থান করছে। বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং পর্যটক বিনিময়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এ সুযোগ ও সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে চাই। 

প্রদীপ কুমার গাওয়ালি আরও বলেন, ভারতের সহযোগিতায় হাইড্রো পাওয়ার উৎপাদন করছে নেপাল, যা বাংলাদেশে রফতানির সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ নেপালকে ট্রানজিট সুবিধা প্রদান করেছে, এজন্য নেপাল বাংলাদেশের কাছে কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল (বিবিআইএন) প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সংশ্লিষ্ট সব দেশ উপকৃত হবে। এফটিএ স্বাক্ষর হলে উভয় দেশের মধ্যে নতুন অর্থনৈতিক যুগের সূচনা হবে।

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব  ড. মো. জাফর উদ্দীন এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান (সচিব) ফাতেমা ইয়াসমিন এবং নেপালের পররাষ্ট্র সচিব সংকর দাস বৈরাগী, ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বানশিধর মিশ্র, নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ইয়াগা বাহাদুর হামালসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

এনএস/