ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

মার্কিন সিনেটরের বক্তব্য বাংলাদেশের প্রত্যাখান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩০ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ১২:০৬ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শনিবার

মার্কিন সিনেটর চাক গ্রাসলি

মার্কিন সিনেটর চাক গ্রাসলি

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সিনেটর চাক গ্রাসলি বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তার এ বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে তা প্রত্যাখান করেছে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাস।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে তার বক্তব্যকে ‘পক্ষপাতমূলক ও হতাশাজনক’ আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করা হয়। 

সিনেটর গ্রাসলি এক বিবৃতিতে দাবি করেছিলেন, ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে বাংলাদেশিদের একাংশকে নিপীড়নের শিকার হতে হয়।

গত মঙ্গলবার মার্কিন সিনেটর গ্রাসলি বলেন, ‘রাশিয়া, বাংলাদেশ ও সুদানের মতো দেশগুলোতে বসবাসরত নাগরিকদের সহায়তা করা উচিত যুক্তরাষ্ট্রের। তারা স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার মধ্যে বসবাস করছে এবং শুধু ধর্ম ও ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।’

গ্রাসলিকে বাংলাদেশের বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি করে যথাযথ তথ্যের ভিত্তিতে তার বক্তব্য সংশোধনের আহ্বান জানান বাংলাদেশ দূতাবাসের মুখপাত্র শামিম আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সিনেটর গ্রাসলির বক্তব্য সত্যের অপলাপ। বাংলাদেশ দূতাবাস ওই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছে এবং এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে। দূতাবাস পরিষ্কার ভাষায় বলছে, মার্কিন সিনেটর গ্রাসলির বিবৃতি ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’র প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তৈরি মার্কিন কমিশনের ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’ 

মার্কিন সিনেটের অর্থনৈতিক কমিটির চেয়ারম্যান এই গ্রাসলিকে বাংলাদেশের সম্প্রীতি, স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিজ চোখে দেখে আসার জন্য আমন্ত্রণও জানানো হয়।

নিপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। তাদেরকে মৃত্যুর হাত বাঁচিয়েছে ঢাকা। এরপরও বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করার পরিবর্তে উদ্বেগ জানানোয় ‘তীব্র হতাশা’ প্রকাশ করেছে দূতাবাস।

শামিম আহমেদ বলেন, ‘মার্কিন সিনেটর গ্রাসলিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আমরা। আমাদের দেশে বিদ্যমান ধর্মীয় সম্প্রীতি, উন্মুক্ততা, অন্তর্ভুক্তি, স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নিজ চোখে দেখে যেতে তাকে আমরা আমন্ত্রণ জানাই।’

এমএস/এসি