ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

বাঙালির বিরুদ্ধে চক্রান্ত আগুন লইয়া খেলার শামিল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:০৭ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শনিবার | আপডেট: ০৩:০৮ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শনিবার

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

১৯৭১ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা জেলা হইতে নব নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যদের সম্মানার্থে আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভায় আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জনসাধারণকে আরও বৃহত্তর সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানাইয়াছেন।

তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা তাহাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখিয়াছে এবং শাসনতন্ত্র প্রণয়নের ব্যাপারে জনসাধারণের রায়কে নস্যাৎ করার জন্য চেষ্টা চালানো হইতেছে। নির্বাচনোত্তর কয়েকটি হত্যা ও আকস্মিকভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির দ্বারা চক্রান্তকারীরা জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার প্রত্যাশী বলিয়া তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন যে, এইসব শোষক চক্রান্তকারী বিগত ২৩ বৎসর যাবৎ বাংলাদেশকে নিদারুণভাবে শোষণ করিতেছে। তিনি এক হুঁশিয়ারিতে এইসব শোষক ও চক্রান্তকারীকে তাহাদের দূরভিসন্ধী পরিহারের আহ্বান জানান।

আকস্মিকভাবে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানের জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানাইয়া বলেন, পাকিস্তানের ২৩ বৎসরের লুটেরা, শোষক ও স্বার্থবাদী মহল শেষ ছোঁবল হানার জন্য সুযোগের অপেক্ষায় রহিয়াছে। তাহাদের এই অপপ্রয়াস রোধের জন্য তিনি বাংলাদেশের প্রত্যেককে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

শাসনতন্ত্র প্রসঙ্গে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শাসনতন্ত্র প্রণয়ন প্রসঙ্গে বলেন যে, আওয়ামী লীগ একাই দেশের শাসনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য দেশের সংখ্যাগুরু জনসাধারণের রায় লাভ করিয়াছে। তথাপি এই প্রশ্নে পশ্চিম পাকিস্তানের প্রদেশসমূহের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ইচ্ছা করিলে তাঁহার সঙ্গে সহযোগিতা করিতে পারেন।

তিনি তাঁহার বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করিয়া বলেন যে, নীতির প্রশ্নে কখনও তিনি কাহারও সঙ্গে আপস করিবেন না।

বঙ্গবন্ধু বলেন যে, দীর্ঘদিন যাবৎ শোষিত ও নির্যাতিত হওয়ার পর বাঙালিরা আজ নিজেদের সমস্যা সম্পর্কে সজাগ হইয়াছে। ইহারই ফলশ্রুতি স্বরূপ তাহাদের বিজয় অবশ্যম্ভাবী।

তিনি বলেন যে, জাগ্রত বাঙালির চোখে তিনি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ দেখিতে পাইয়াছেন। কাজেই তাহাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা আগুন লইয়া খেলারই নামান্তর হইবে।

তথ্যসূত্র : এই দেশ এই মাটি গ্রন্থ।

এএইচ/