ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মুজিববর্ষে নৌভ্রমণের আয়োজন করবে নৌ-মন্ত্রণালয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১৫ এএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ রবিবার

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচির অংশ হিসেবেই নৌভ্রমণের আয়োজন করবে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়। মুজিব শতবর্ষের সমাপনী দিন ২০২১ সালের ১৭ মার্চ দেশের বরেণ্য ব্যক্তি ও মুজিববর্ষ উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্যদের নিয়ে এই নৌভ্রমণের আয়োজন করা হবে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) এমভি বাঙালি বা এমভি মধুমতি জাহাজে এই ভ্রমণের আয়োজন করা হবে। 

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটে টোল ফ্রি করার ঘোষণা দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। তারা আজীবন এই সুবিধা ভোগ করবেন। 

ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করেছে বিআইডব্লিউটিএ। চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি সংস্থার সচিব মুহাম্মদ আবু জাফর হাওলাদার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়।

আদেশে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যক্তিগত পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত নিজস্ব যানবাহনের (বাণিজ্যিক উদ্দেশে ব্যবহৃত নয়) জন্য কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণাধীন সকল ফেরিঘাটের টার্মিনাল চার্জ, লঞ্চঘাটের প্রবেশ ফি এবং ফেরি চার্জের (যন্ত্রচালিত ও অযন্ত্রচালিত নৌকায় পারাপার) ক্ষেত্রে আজীবন ফ্রি সুবিধা প্রদান করা হলো। একইসঙ্গে কোনও বীর মুক্তিযোদ্ধা গণপরিবহনে ফেরিঘাটে নেমে লঞ্চে পারাপারের ক্ষেত্রে লঞ্চঘাটের ফিও আজীবন ফ্রি সুবিধার আওতায় থাকবে।

এছাড়া মুজিববর্ষ উপলক্ষে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় যেসব কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সেগুলো হলো: মার্চ মাসের সুবিধাজনক সময়ে ‘বঙ্গবন্ধু ও সুনীল অর্থনীতি’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন। এ বছরের মার্চেই তুরাগ নদীর তীরে প্রদর্শিত হবে লেজার শো। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সংক্রান্ত অ্যালবাম তৈরি করে তা বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসসহ বিভিন্ন স্থানে বিতরণ করা হবে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত তথ্যচিত্র তৈরি করা হবে। বিভিন্ন জেলায় নৌকা বাইচের আয়োজন করা হবে। এ বছর সেপ্টেম্বরে দেশের চারটি নতুন মেরিন অ্যাকাডেমির শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হবে। নারায়ণগঞ্জের খানপুরে স্থাপন করা হবে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিফলক। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু নদীপদক‘ প্রদানের জন্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। দেশের বিভিন্ন নদীবন্দরে চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু কিছুদিনের জন্য এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সে কারণে এই মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তার কর্ম ও আদর্শের ছোঁয়া রয়েছে। সেই দিক বিবেচনা করেই জন্মশতবার্ষিকী পালনে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।