ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মানবপাচারকারি নিহত

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০১:০৩ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ রবিবার

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আব্দুস সালাম (৩০) নামের এক মানবপাচার মামলার আসামি নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ৬ রাউন্ড কার্তুজ ও ৯ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মানব পাচারের তিনটি মামলা রয়েছে।

শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলা বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালীয়াপাড়া জুম্মাপাড়ার আব্দুস সালামের বসতবাড়ির পুর্বদিকে ১০০ গজ দুরে পাহাড়ের পাদদেশে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। 

এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

নিহত আব্দুস সালাম টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালীয়া পাড়ার জুম্মাপাড়ার বাসিন্দা মৃত হাকিম আলীর ছেলে।

পুলিশের ভাষ্যমতে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছাকাছি ১৩৮ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় ২১জনের মৃতদেহ ও জীবিত ৭৩ জনকে উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছিল। ওই মামলায় আটজনকে আটক করা হয়। ওই মামলার প্রধান আসামি আব্দুস সালাম। 

ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, উপজেলা বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন, একাধিক মানবপাচার মামলার আসামি ও গত ১২ ফেব্রুয়ারির সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি ১৩৮জন যাত্রী নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় অভিযুক্ত আসামি আব্দুস সালামসহ কয়েকজন বাহারছড়ার নোয়াখালীয়াপাড়া, জুম্মাপাড়ায় কয়েকজন পলাতক আসামিরা আব্দুস সালামের বসতবাড়ির পুর্বদিকে ১০০ গজ দুরে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করছে এমন তথ্য পায়। 

তিনি বলেন, পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্রধারী আসামিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ী গুলি ছোঁড়ে। এসময় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাবিবউল্লাহ, কনস্টেবল সানি বডুয়া ও মোহাম্মদ দেলোয়ার আহত হয়।

কুমার দাশ বলেন, তাৎক্ষণিক পুলিশও নিজেদের জীবন রক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আবদুস সালামকে পাওয়া যায় এবং অন্যরা গুলি করতে করতে পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ১টি এলজি, ৬ রাউন্ড কার্তুজ, ৯ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিক আহত পুলিশ ও গুলিবিদ্ধ আসামিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুস সালামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জাকারিয়া মাহমুদ বলেন, রাতে পুলিশ চারজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এর মধ্যে সাধারণ পোশাকে থাকা এক ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন অংশে তিনটি গুলি লেগেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, ভোর রাতে সালামকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুস সালামকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃতদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।