ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

বাগেরহাট-৪ আসনে জয়ের পথে এ্যাড. আমিরুল আলম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:২৯ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৬:০৬ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ রবিবার

বাগেরহাট-৪ সংসদীয় আসনের উপ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ্যাড. মো. আমিরুল আলম মিলনের মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়েছে। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মিলনায়তনে উপ-নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র যাচাই শেষে উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী এ সিদ্ধান্ত দেন।

এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন পত্র জমাদানের শেষ দিনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ্যাড. আমিরুল আলম মিলন, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপন ও  জাতীয় পার্টির মনোনিত প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রী মনোনয়ন পত্র জমা দেন। বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় এই আসনে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ্যাড. মো. আমিরুল আলম মিলন।

খুলনা বিভাগীয় নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী বলেন, ঋণ খেলাপি হওয়ায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রী‘র মনোনয়ন পত্র বাতিল করা হয়েছে। সময় মত পৌর কর পরিশোধে ব্যর্থতা ও  খেলাপি ঋণ থাকায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপনের মনোনয়ন পত্রটিও বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে এখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ্যাড. মো. আমিরুল আলম মিলন একক বৈধ প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বাতিল প্রার্থীরা ২৬ তারিখের মধ্যে নির্বাচন কমিশন বরাবর তাদের প্রার্থীতা ফিরে পেতে নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করতে পারবেন। ২৯ তারিখের মধ্যে এই আবেদনের নিষ্পত্তি করবেন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনেও যদি তাদের প্রার্থীতা বাতিল হয়। তাহলে ১ মার্চ এ্যাড. আমিরুল আলম মিলনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।

১০ জানুয়ারি ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন মৃত্যুবরণ করলে আসনটি শূন্য হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন। ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ২১ মার্চ ভোট গ্রহণের কথা রয়েছে।

কেআই/আরকে