ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

স্যামিকে যে কারণে নাগরিকত্ব দিচ্ছে পাকিস্তান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:২৭ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ রবিবার

পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরষ্কার নিশান-ই-পাকিস্তানও পেতে যাচ্ছেন স্যামি

পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরষ্কার নিশান-ই-পাকিস্তানও পেতে যাচ্ছেন স্যামি

পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের দু-দুটি বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ড্যারেন স্যামিকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। আজ দেশটির রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি এই সিদ্ধান্ত পাসও করেছেন।

পাকিস্তানের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরষ্কার নিশান-ই-পাকিস্তানও পেতে যাচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই অলরাউন্ডার। ২৩ মার্চ ইসলামাবাদে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে সম্মাননা পাবেন ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ড্যারেন স্যামি।

পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরানোতে বড় ভূমিকা পালন করায় তাকে নাগরিকত্ব দেয়ার প্রস্তাব দেন স্যামির পাকিস্তান সুপার লিগের দল পেশোয়ার জালমির মালিক জাভেদ আফ্রিদি। তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান এহসান মানির কাছে এই প্রস্তাব পেশ করেন।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড জাভেদ আফ্রিদির এই প্রস্তাব সরকারের কাছে উত্থাপন করে এবং সরকার এটাকে পাকিস্তানের ক্রিকেটে 'অমূল্য এক অবদান' হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

জাভেদ আফ্রিদি বলেন, স্যামি যখন পাকিস্তানের ক্রিকেটে অবদান রাখেন তখন তার কোনও স্বার্থ ছিল না। আমরা সেটার একটা কৃতজ্ঞতা হিসেবে এই সম্মাননা দিতে চাইছি স্যামিকে। 

এদিকে, ২০১৬ সাল থেকে জালমির হয়ে পাকিস্তান সুপার লিগে খেলছেন স্যামি। পাকিস্তান সুপার লিগের আইকন বা মারকুই ক্রিকেটার এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান। পিএসএলের দ্বিতীয় মৌসুমেই অধিনায়কের দায়িত্ব পান স্যামি। ২০১৭ সালে পেশোয়ার জালমি পিএসএল কাপ জেতে এবং ২০১৮ ও ২০১৯ সালে তারা রানারআপ হয়।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড যখন পাকিস্তান সুপার লিগের ফাইনাল পাকিস্তানে আয়োজন করার পরিকল্পনা করে, তখনই পাকিস্তানে যাওয়ার ব্যাপারে সবার আগে রাজি হন ড্যারেন স্যামি। 

এর আগে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের বিশ্ব একাদশ তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে পাকিস্তানে। তখন ড্যারেন স্যামি অন্যান্য দেশের সফরকারীদের সঙ্গে কথা বলেন ও পাকিস্তানে যাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহী করে তোলেন।

সেই সময়ে ড্যারেন স্যামির একটি সাক্ষাৎকারে পাওয়া যায়, "আমি আমার পিএসএল ফাইনালের অভিজ্ঞতা সবার সাথে শেয়ার করি, আমাদের সাথে দুর্দান্ত নিরাপত্তা দল ছিল। যারা আমাদের সবকিছু সংক্ষেপে বুঝিয়ে বলে এবং আমরা নির্ভার ছিলাম। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার আমি বুঝি, আমি যখন সেন্ট লুসিয়ায় খেলি। সেটা আমার জন্য এবং ভক্তদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি পাকিস্তানে এই প্রক্রিয়ার অংশ হতে পেরে খুশি।"

উল্লখ্য, নিজ শহর সেন্ট লুসিয়ায় ড্যারেন স্যামির নামে একটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামও আছে। সূত্র- বিবিসি।

এনএস/