ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

প্রাণঘাতী করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬৯১

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৫ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার | আপডেট: ১২:৪১ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ সোমবার

হুবেই’র পরে চীনে করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ওয়াংডংয় প্রদেশ- সাউফ চায়না মনিং পোস্ট

হুবেই’র পরে চীনে করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ওয়াংডংয় প্রদেশ- সাউফ চায়না মনিং পোস্ট

করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬শত ১৯ জনে। এখন পর্যন্ত ৩৩টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯ হাজার ৫শ ৬১। এর মধ্যে চীনের মূল ভূখণ্ডেই অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রোববার নতুন করে আরও ১৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’র। 

চীনে এখন পর্যন্ত ২৩ হাজার ৩৬০ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। অপরদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ১১ হাজার ৪৭৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা দেখা দেয়।

নিহতদের মধ্যে চীনের বাইরে রয়েছে প্রায় ২০ জন। চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ইরানে। সেখানে এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রোববার নতুন করে আরও ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ফলে এই ভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩। ইরানে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় আতঙ্কে প্রতিবেশী তিন দেশ-আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং তুরস্ক ইরানের সঙ্গে তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। 

মৃতরা হংকং, ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়া ও ইতালি, তাইওয়ান, জাপান, ফ্রান্স, ফিলিপাইনের নাগরিক। 

চীনের পর দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। সেখানে নতুন করে আরও ১৬১ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৬৩ জনে।

এদিকে চীনের উহান শহরটি এখন কার্যত বন্ধ বা অচল হয় আছে। এর মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই বহু স্বেচ্ছাসেবী আক্রান্তদের হাসপাতালে আনা-নেয়া করছেন। আবার অনেকে স্বাস্থ্য কর্মীদের যাদের পরিবহনের ব্যবস্থা নেই তাদের সহায়তার চেষ্টা করছেন।

গত ৩১ ডিসেম্বর হুবেই প্রদেশের উহান শহরেই প্রথম এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত এটি বিশ্বের অন্তত ৩৩টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের হুবেই প্রদেশের উহানের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু। অনেক দেশই তাদের নাগরিকদের চীন ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। 

এ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায়, বেলজিয়াম, কম্বোডিয়া, কানাডা, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, ভারত, ইতালি, জাপান, ম্যাকাও, মালয়েশিয়া, নেপাল, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন, শ্রীলঙ্কা, সুইডেন, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান এবং ভিয়েতনামে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এমএস/