ঢাকা, বুধবার   ১৪ মে ২০২৫,   বৈশাখ ৩১ ১৪৩২

শুদ্ধ ভাষায় কথা বলার চর্চা ক্রমেই কমছে

প্রকাশিত : ১১:১৬ এএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ বুধবার | আপডেট: ১১:১৬ এএম, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ বুধবার

ক্রমেই কমছে প্রমিত বা শুদ্ধ ভাষায় কথা বলার চর্চা। ভিন্ন ভাষার শব্দের মিশ্রনে বাক্যরীতিতেও ঘটছে পরিবর্তন। অনেকের অভিযোগ, শুদ্ধভাষায় কথা বললে কোন কোন ক্ষেত্রে উপহাসের শিকার হতে হয়। তবে, ভাষা নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের মতে, ভাষার সমৃদ্ধির জন্য ‘মান ভাষা’ রাখা প্রয়োজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের মাঠে আড্ডা দিচ্ছিলেন কয়েকজন তরুন- তরুনী। তাদের অনেকেই না আঞ্চলিক না প্রমিত উচ্চারণে কথা বলছিলেন। কেন শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলছেন না- এমন প্রশ্ন করতেই তারা বলেন, শুদ্ধ ভাষায় কথা বললে উপহাসের শিকার হতে হয়। বাচিক শিল্পীরা বলছেন, আঞ্চলিক ও প্রমিত ভাষার মাঝখানে যে ভাষা তরুন প্রজন্ম ব্যবহার করছে তা প্রত্যাশিত নয়। তাদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে ভাষার সংক্ষিপ্তকরণ, উচ্চারণের বিকৃতি এবং বিদেশি শব্দের মিশ্রনে ঘটছে ভাষা দূষণ। কবি আসাদ চৌধুরীর মতে, ভাষাকে বাঁচাতে শুদ্ধ উচ্চারণ এবং সঠিকভাবে লেখা প্রয়োজন। গণমাধ্যমসহ সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ভাষার বিকৃত ব্যবহারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এই কবির মতে, সুন্দর ও শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলা ব্যক্তিত্বের পরিচয়। বর্তমানে ভাষার যে বিকৃতি চলছে, এমনটি চলতে থাকলে বাংলা ভাষা সংকুচিত হয়ে পড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।