ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

মধ্যরাতে কেজরিওয়ালের বাসভবন ঘেরাও

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৩ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বুধবার | আপডেট: ১২:১৪ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বুধবার

বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে জলকামান ছুঁড়ছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে জলকামান ছুঁড়ছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

দিল্লির সংঘর্ষে ক্রমেই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, অথচ তা ঠেকাতে কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না সরকার। এই অভিযোগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনের বাইরে একত্রিত হন বহু মানুষ, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছাত্র। এই হত্যা-সংঘর্ষ বন্ধে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানান তারা। এ খবর দিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার।

জামিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রদের সংগঠন এবং জামিয়া কো-অর্ডিনেশন কমিটির পক্ষ থেকে মঙ্গলবার কেজরিওয়ালের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। তাতে সাড়া দিয়ে গভীর রাতে বহু মানুষ জড় হন মুখ্যমন্ত্রী বাসভবনের সামনে। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও যোগ দেয় এই বিক্ষোভে। 

মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করে প্রতিবাদ জানাতে থাকে ছাত্ররা। তাদের দাবি, উত্তর-পূর্ব দিল্লির যে যে এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়েছে, অবিলম্বে সেখানে যেতে হবে কেজরিওয়ালকে। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে আনার জন্য স্থানীয় বিধায়কদের শান্তি মিছিল বের করতে নির্দেশ দিতে হবে।

যে বা যাদের ইন্ধনে রাজধানীতে হিংসার আগুন ছড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেন বিক্ষোভকারী ছাত্ররা। আক্রান্তরা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেন তারা। এমন কি উদ্ধারকার্য চালাতে সরকারকে আরও পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও তোলা হয়। শান্তি ফেরাতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাও সাধারণ মানুষকে জানানোর দাবি ওঠে।

ভোররাত পর্যন্ত কেজরিওয়ালের বাড়ির সামনে এই বিক্ষোভ চলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নামানো হয়। কথা বলে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন পুলিশকর্মীরা। শেষমেশ বিক্ষোভকারীদের হঠাতে পুলিশকে জলকামান ব্যবহার করে। 

ভোর সাড়ে ৩টা নাগাদ পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানা গেছে। ছাত্রদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে আটক করে সিভিল লাইন্স পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়।

এই বিক্ষোভ নিয়ে কেজরিওয়ালের দফতর থেকে এখন পর্যন্ত কিছুই বলা হয়নি।

এএইচ/