ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

দিল্লিতে উত্তেজনা: বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫২ এএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) বিরোধীতা করে চলমান আন্দোলনে প্রতক্ষভাবে অংশ নেয়ার অভিযোগে বিশ্বভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। 

ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ভারতবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে দাবি করে গতকাল বুধবার দেশটির ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (এফআরআরও) জানায়, ‘আগামি ১৫ দিনের মধ্যে তাকে ভারত ছাড়তে হবে।’ 

তবে তার সহপাঠীরা জানিয়েছে, ‘এনআরসি ও সিএএ বিরোধী বিক্ষোভের সময় তিনি কিছুটা দূরে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তারপরও তাকে তার দেশে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’ 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো ওই নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। 

ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার সঙ্গে কেন এমন হলো? কি করব বুঝে উঠতে পারছি না।’ 

তার সহপাঠীরা জানান, ‘সে সুস্থ হয়ে উঠলে আমরা করণীয় ঠিক করব। তবে এতটুকু আমরা বলতে পারি, এনআরসি বিরোধী কোনো বিক্ষোভে সমর্থন দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি।’

এদিকে স্থানীয় বাংলাদেশ উপদূতাবাস সূত্র জানিয়েছে, বিষয়টি অবগত আছে বাংলাদেশ। তবে কি কারণে এটা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

এদিকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সংঘর্ষে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে পৌঁছল ৩৪ জনের দাঁড়িয়েছে। আহত ২শ’র বেশি।

চলমান পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শান্তির বার্তা দিয়ে সবাইকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক দফা বৈঠকে বসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 

তবে গতকাল বুধবার পর্যন্ত গত চারদিনে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্বয়ং দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। এখন পর্যন্ত তারা ১০৬ জনকে গ্রেফতার করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি করেছে দিল্লি পুলিশ। 

উত্তপ্ত এই পরিস্থিতিকে ১৯৮৪ সালের দাঙ্গার সঙ্গে তুলনা করে দেশটির সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি মুরলীধর বলেছেন, ‘আদালত কোনোভাবেই আরেকটি দাঙ্গার দিকে ঠেলে দিতে পারেনা।’

তবে তার এমন অবস্থানকে ভালভাবে নেয়নি ক্ষমতাসীন মোদি সরকার। বুধবাররই তাকে বদলির নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ওই দিন মাঝরাতেই এ সংক্রান্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। 

এআই/