ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৩৪ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৪:০০ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ বৃহস্পতিবার

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালত বলেছে, খালেদা জিয়া একজন দণ্ডিত আসামি। একজন সাধারণ ব্যক্তি আদালতে যে ধরনের আইনগত সুযোগসুবিধা পাবেন তার ক্ষেত্রে সেই সুযোগ নেই। তিনি জেলকোড অনুযায়ী সুযোগ সুবিধা পাবেন।

আদালত আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে যে রিপোর্ট এসেছে সেখানে কোথাও উল্লেখ নেই তারা খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দিতে সক্ষম নন। কিন্তু খালেদা জিয়া অ্যাডভ্যান্সড ট্রিটমেন্টের বিষয়ে কোনো অনুমতি দেননি। আমরা মনে করি তিনি সম্মতি দিলে তার চিকিৎসা সেবা শুরু হতে পারে। অতএব জামিন চেয়ে যে আবেদন করা হয়েছে তার কোনো সারবত্তা নেই। আবেদনটি খারিজ করা হলো।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কেএম জহিরুল হকের বেঞ্চ সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর গতকাল বুধবার বিকাল ৫টার মধ্যে বিএসএমএমইউ উপাচার্যকে কোনোরকম ব্যর্থতা ছাড়াই স্বাস্থ্য প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পাশাপাশি মামলার শুনানির জন্য আজ বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করা হয়েছিল।

আদালতের নির্দেশনা অনুসারে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার সর্বশেষ প্রতিবেদন বুধবার সুপ্রিমকোর্টে দাখিল করা হয়। এরপর আজ আদালতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বিষয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। 

এদিন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের ডিভিশন বেঞ্চে এ প্রতিবেদন নিয়ে আসেন সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর। এর পরই রিপোর্টটি আদালতে পড়ে শোনান বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, অ্যাজমা, বাতজ্বর ও কাশিসহ ব্যাক পেইনে ভুগছেন। তাকে অ্যাডভ্যান্সড ট্রিটমেন্ট দেয়ার বিষয়ে তার মতামত জানতে চেয়েছিল সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। কিন্তু তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) উন্নত চিকিৎসা গ্রহণের বিষয়ে সম্মতি দেননি।

পরে এদিন বিকাল ৩টার পরে আদালত খালেদা জিয়ার জামিন না মঞ্জুর করেন। 

খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। এ সময় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, সগির হোসেন লিওন ও ফারুক হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় এর আগেও (২০১৯ সালের ৩১ জুলাই) জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। খালেদা জিয়ার সে জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। 

এরপর ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর হাইকোর্টের খারিজাদেশের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করেন তার আইনজীবীরা। আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ১৪শ’ ১ পৃষ্ঠার ওই আপিল আবেদন দাখিল করা হয়। আপিলের শুনানি নিয়ে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন চেয়ে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। তবে শুনানি শেষে জামিন পাননি খালেদা জিয়া।