ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

বিদ্যুৎ ও পানির দাম বৃদ্ধি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৪ এএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শুক্রবার

একই সঙ্গে বাড়লো নিত্যপ্রয়োজনীয় সেবাপণ্য বিদ্যুৎ ও পানির দাম। আগামী মার্চ থেকে বিদ্যুৎ ও পানির দাম বৃদ্ধি কার্যকর হবে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি সারাদেশের জন্য প্রয্যেজ্য হলেও পানির দাম বৃদ্ধি কার্যকর হবে শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরীর গ্রাহকদের জন্য।

আগামী মার্চ থেকে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে ইউনিটপ্রতি ৩৬ পয়সা বেশি দিতে হবে। বৃহস্পতিবার গ্রাহক (খুচরা) পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ানোয় বিলের সঙ্গে অতিরিক্ত এ ৩৬ পয়সা যোগ হবে। ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে নতুন দাম।

এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসার পানির দামও ফের বাড়াল। ঢাকা ওয়াসার প্রতি হাজার লিটার পানি আবাসিকে ২.৮৯ টাকা ও বাণিজ্যিকে ২.৯৬ টাকা বেড়েছে। আর চট্টগ্রামে আবাসিকে ২.৪৮ টাকা এবং বাণিজ্যিকে ২.৭৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। 

সাধারণ গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। আগামী মার্চের বিদ্যুৎ বিলে প্রতি ইউনিটের (কিলোওয়াট/ঘণ্টা) জন্য গড়ে ৩৬ পয়সা করে বেশি দিতে হবে। দাম বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি হতদরিদ্র গ্রাহকদের (লাইফলাইন ট্যারিফ, ৫০ ইউনিট পর্যন্ত) ক্ষেত্রে।

ঢাকা ওয়াসার প্রতি হাজার লিটার পানি আবাসিকে বেড়েছে ২৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ ও বাণিজ্যিক ৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ। চট্টগ্রাম ওয়াসার আবাসিক প্রতি হাজার লিটার পানিতে ২৫ শতাংশ এবং বাণিজ্যিকে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ দাম বেড়েছে।

দাম বৃদ্ধির সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবৃত্তি শ্রেণির গ্রাহকদের। ব্যয় বাড়বে শিল্পমালিকদেরও। মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির গ্রাহকদের মাসিক বিদ্যুতের খরচ ১০০ টাকার ওপর বাড়বে। বড় শিল্পমালিকদের মাসিক বিদ্যুৎ বিল ৯ লাখ থেকে ১৪ লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়বে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে পানির জন্য বাড়তি ব্যয়।

ব্যবসায়ীরা বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে রপ্তানিমুখী শিল্প হুমকির মুখে। আবার বিদ্যুৎ ও পানির দাম বাড়ানো হলো। এতে শিল্প উৎপাদন, বিশেষ করে পোশাক খাত ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। বাধাগ্রস্ত হবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।