ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

হৃদরোগ কি, কেন হয়?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:০৮ পিএম, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শনিবার | আপডেট: ০১:০৮ পিএম, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ শনিবার

হৃদপিণ্ড অকার্যকর বা হার্ট ফেইলিওর বেশ জটিল একটি সমস্যা। হার্ট যখন তার কাজ ঠিকঠাকমতো করতে পারে না,তখন হার্ট ফেইলিওর হয়। হার্টে ফেল করলে হৃৎপিন্ড সংকোচনের মাধ্যমে রক্ত বের করতে পারে না ফলে ফুসফুস, পা এবং পেটে পানি জমে যায়। হার্ট ফেইলুর হঠাৎ করে হতে পারে আবার ধীরে ধীরে হতে পারে।

হৃৎপিন্ড প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বার সংকোচন-প্রসারনের মাধ্যমে দেহের প্রতিটি কোষে বিশুদ্ধ রক্ত ও খাদ্যকণা পৌঁছে দেয়। একই সঙ্গে দেহের দুষিত রক্তকে বিশুদ্ধ করণের জণ্য ফুফুসে সরবরাহ করে। দেহের প্রতিটি আঙ্গের বেঁচে থাকার জন্য হৃৎপিন্ডকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হয়। নিজের প্রয়োজনীয় রসদ হৃৎপিন্ড নিজস্ব তিনটি করোনারি আর্টারির মাধ্যমে নিয়ে থাকে। হৃৎপিন্ড তার কাজ ঠিকমতো করতে না পারাকেই হার্ট ফেইলুর বলা হয় যা সহজভাবে হার্ট ফেল নামে পরিচিত।

হার্ট ফেইলুর বা হৃৎপিন্ডের ব্যথ্যতা বা কর্মহীনতার জন্য সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরী। অনেকে ভুল করে হার্ট অ্যটাক এবং হার্টফেইলকে একই রোগ ভেবে থাকনে। হার্ট অ্যাটাক এবং হার্ট ফেইলর আলাদা সমস্যা, যদিও একটির কারণে অন্যটি হতে পারে। আবার দুটি এক সঙ্গেও হতে পারে।

হার্ট ফেলের কারণ

হার্ট অ্যাটাক (মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন, আনস্টেবল এনজাইনা), অ্যানিমিয়া (রক্তমূন্যতা), হার্ট ভাইরাস সংক্রামণ, হাইরয়েড গ্রন্থির রোগ, পেরিকার্ডিয়ামের রোগ সিটেমিক রোগ ইত্যাদি।

যেসব কারণে হার্টের সমস্যা থাকাকালে হার্ট ফেইলুর চরমপর্যায়ে যেতে পারে

১. মায়োকার্ডিয়াল ইসকোমিয়া/ইনফার্কশন

২. সংক্রমন

৩. হৃৎপিন্ডের ছন্দহীনত যেমন atrial Flabrillation

৪. ডাবেটিস

৫. হার্ট ফেলের অপর্যাপ্ত চিকিৎসা

৬. শরীরে পানি ধরে রাখার মতো অষুধ, যেমন -ব্যাধানাশক, স্টেরয়েড।

৭. গর্ভাবস্থা, রক্তশূন্যতা ও থাইরয়েডের রোগ

৮. শরীরে অতিরিক্ত পানি প্রয়োগ

 

হার্ট ফেলের উপসর্গ

১. শ্বাসকষ্ট

২. শরীরে অতিরিক্ত পানি বা ইডেমা

৩. কাশি

৪. দুর্বল লাগা

৫. রাতে অতিরিক্ত প্রস্রাব হওয়া

৬. ক্ষুধা মন্দা, বমি ভাব

৭. বুক ব্যাথা

৮. জটিলতা নিয়ে উপস্থিত, যেমন-কিডনি বিকল ইলেকট্রলাইটের তারতম্য, লিভারের সমস্যা, স্ট্রোক, হৃৎপিন্ডের ছন্দহীনতা।

 

হার্টফেল প্রতিরোধের জন্য যা করতে হবে

১. ধুমপান/তামাক/জর্দা/নস্যি বর্জন করতে হবে

২. কাঁচা/ভাজা সকল প্রকার আলগা যাথাযথ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

৩. উচ্চ রক্তচাপ , ডায়াবেটিস থাকলে যথাযথ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

৪. কায়িক শ্রম

৫. উত্তেজন পরিহার

৬. যে কোন সংক্রমণের চিকিৎসা করাতে হবে জরুরীভাবে

৭. রক্তশূন্যতা পূরণ করতে হবে

৮. ওজন আদর্শ মাত্রায় রাখতে হবে

৯. সুষম খাবার গ্রহণ করতে হবে

১০. পরিমিত ঘুম ও বিশ্রাম নিতে হবে

১১. আদর্শ জীবনযাপন করতে হবে