ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

লিটনের শতকে জিম্বাবুয়েকে ৩২২ রানের টার্গেট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৫৬ পিএম, ১ মার্চ ২০২০ রবিবার

সিলেটে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে লিটন দাসের হার না মানা শতকে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে ৩২২ রানের বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। তবে সাতমাস পর ওয়ানডে খেলতে নেমে এদিনও অনুজ্জ্বল ছিলেন অভিজ্ঞ তামিম ইকবাল।

এদিন টস জিতে ব্যাটিং নেমে রোমাঞ্চকর সূচনা করেন দুই ওপেনার। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৬০ রান। একপ্রান্তে লিটন দাস চালিয়ে খেললেও ধীর গতিতে ছিলেন তামিম। 

দলীয় ৬০ রানের মাথায় উইসলি মাধেভেরের অফ ব্রেক বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন বামহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল। ৪৩ বল খেলে মাত্র ২৪ রান নিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। 

তবে শুরু থেকে বিপরীত অন্যপ্রান্ত। স্বপাটে চালিয়ে যান লিটন দাস। দীর্ঘ বিরতির পর খেলতে নেমে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক তুলে নেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৯৬ বল মোকাবেলা করে ১০ চার ও এক ছয়ে ঝলকানো ইনিংস উপহার দেন তিনি। 

কিন্তু হাটুতে আঘাত পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত ম্যাচ খেলতে পারেননি লিটন। 

এর আগে তামিমের বিদায়ের পর নাজমুল হাসান শান্তর সঙ্গে ৮০ রানের জুটি গড়েন লিটন। কিন্তু দলীয় ১৪০ রানের মাথায় আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে মুতম্বোদজির বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন শান্ত। আউট হন ২৯ রানে। 

তার বিদায়ের পর লিটনের সঙ্গে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিত দেন মুশফিকুর রহিম। তবে বেশিদূর যেতে পারলেন সফরকারীদের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি পাওয়া মুশফিকুর রহিম। ত্রিপানোর বলে মুতম্বোদজির হাতে ব্যক্তিগত ১৯ রানে তালুবন্দি হন মি. ডিপেন্ডাবল। 

সেখান থেকে চতুর্থ জুটিতে ৯২ রানের এক অনবদ্য ইনিংস খেলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মোহাম্মদ মিঠুন। কিন্তু দলীয় ২৭৪ রানের মাথায় এমপোফুর বলে আবারও এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে উইকেটে বিলিয়ে দেন রিয়াদ। ২ চার ও এক ছয়ে ৩২ রান করেন তিনি। 

তবে থেমে থাকেননি মিঠুন। শেষের ৪৭ দশমিক ৫ ওভারে সাজঘরে ফেরার আগে ৫ চার ও এক ছয়ে ৪১ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম অর্ধশতক তুলে নেন এ ব্যাটসম্যান। 

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩২১ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস। জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন এমপোফু। 

দীর্ঘ সাত মাস পর আজ মাঠে নেমেছে টাইগাররা। গুরুত্বপূর্ণ এ সিরিজ দিয়েই ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন লাল সবুজদের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। 

গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে দলে আনা হয় ব্যাপক পরিবর্তন। গত বছরের জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে টাইগার একাদশে থাকা এনামুল হক বিজয়, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান ও রুবেল হোসেনকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দলে রাখা হয়নি। তাদের জায়গায় দলে ডাক পান মাশরাফি, সাইফউদ্দিন ও লিটন দাস।

বোলিং আক্রমণে বাংলাদেশ সাইফুদ্দিনকে মূল বোলার করে রাখা হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানকে। স্পিনে রাখা হয়েছে তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজকে। 

কাপ্তান মাশরাফির বিদায়ের সিরিজকে রঙিন করে রাখতে সব ম্যাচে জয় চায় টাইগাররা। এক্ষেত্রে ম্যাচ বাই ম্যাচ আগাতে চান মাশরাফি।

এআই/এসি