ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

শিক্ষকদের আন্দোলনে অচল পটুয়াখালী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

পবিপ্রবি (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ০৫:১৯ পিএম, ১ মার্চ ২০২০ রবিবার

শিক্ষকদের টানা আন্দোলনে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ জানুয়ারি র‌্যাগিংয়ের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫ শিক্ষার্থীকে এক সেমিস্টারের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঐ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে নামে তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষকদের প্রায় ১২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। 

ঘটনার প্রেক্ষিতে অবরুদ্ধ অবস্থায়ই এক জরুরি বৈঠকে বসেন শিক্ষক সমিতি। বৈঠক শেষে তারা র‌্যাগিংয়ের সাথে জড়িত শিক্ষার্থীদের শাস্তি বহাল রাখাসহ শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখার সাথে জড়িত শিক্ষার্থীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেন।

শিক্ষকদের টানা কর্মবিরতিতে সকল ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। অনুষদীয় ল্যাবসহ ক্লাস রুমগুলো তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন অনুষদের ক্লাস ও চলমান পরীক্ষাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি খুব দ্রুত যেন সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে এভাবে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলে সেশন জটসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে তাদের। অপরদিকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের থাকার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। 

তবে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহীন হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, ‘আগামী মঙ্গলবার শিক্ষক সমিতির একটি সভা হতে পারে। সেখানে চলমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা হলে হয়তো নতুন কোন সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’

এদিকে এ ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়টির দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। সংকট নিরসনের প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছে প্রশাসন। আগামী ৭ই মার্চ শৃঙ্খলা বোর্ডের সভা হবে। সেখানেই দোষী শিক্ষার্থীদের শাস্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’

এআই/এসি