ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৪ মে ২০২৪,   বৈশাখ ৩১ ১৪৩১

হাবিপ্রবিতে অনাচার-নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চকে অবাঞ্চিত ঘোষণা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০২ পিএম, ২ মার্চ ২০২০ সোমবার

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জামাত-বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত তথা-কথিত অনাচার ও নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড.বিধান চন্দ্র হালদারকে তার কৃষি অনুষদীয় উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় অফিস কক্ষে তথা-কথিত অনাচার ও নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের সদস্যবৃন্দ গিয়ে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করলে তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করে অনুষদীয় সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন,জামাত-বিএনপিপন্থী পৃষ্ঠপোষক তথা-কথিত অনুমোদন বিহীন এবং অবৈধ অনাচার ও নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ আমাদের অনুষদে গিয়ে আমাদেরই একজন সম্মানিত শিক্ষককে সবার সামনে লাঞ্ছিত- অপমানিত করবে আমরা কখনোই মেনে নিতে পারবো না। যারা শিক্ষকতার মতো পেশায় থেকে অন্যায়ভাবে গায়ের জোর দেখিয়ে অন্য শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে তাদের শিক্ষকতা করার কোন যোগ্যতা নাই। হাইস্যকর বিষয় যে,এরা নিজেরাই অনাচার নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ তৈরি করে নিজেরাই আবার অনাচার নিপীড়নমূলক করে বেড়াচ্ছে।এসব সন্ত্রাসীদের হাবিপ্রবির ক্যাম্পাসে ঠাই হবে না। আজকের এই মানববন্ধনের পর থেকে আমরা তাদের অবাঞ্চিত ঘোষণা করলাম।

লাঞ্ছনার শিকার কোষাধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড.বিধান চন্দ্র হালদার জানান,পূর্বানুমতি না নিয়ে তথা-কথিত অনুমোদন বিহীন এবং অবৈধ ভূইফোড় সংগঠনের কয়েকজন সদস্য আমার বিভাগীয় অফিসে আকস্মিকভাবে প্রবেশ করে আমাকে দেখে নেয়ায় হুমকি দেন। এ সময় আব্দুর রশিদ পলাশ,ফেরদৌস মেহবুব, আদিবা মাহজাবিন নিতু,হাসান জামিলসহ আরো কয়েকজন আমাকে বলেন,আপনি কোন তদন্ত কমিটির কাজ করতে পারবেন না এবং আগামীকালের মধ্যেই আব্দুর রশিদের বেতন দিতে হবে বলে চড়াও হওয়া শুরু করে দেন।যেটা রিজেন্ট বোর্ডের মাইনুটস(কার্যধারা)এবং মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর স্যার না আসা পর্যন্ত আমার পক্ষে দেয়া সম্ভব না।

ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য আরও বলেন,আমি এ বিষয়ে রেজিস্ট্রারকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি। উপাচার্য স্যার আসলে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং শিক্ষামন্ত্রনালয় বরাবর লিখিত অভিযোগ করব।এইসব লোকই বারবার বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

এ বিষয়ে তথাকথিত অনাচার ও নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চের আহবায়ক অধ্যাপক আব্দুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন,আমার এ বিষয়ে কিছু জানা নেই। স্যার আমার নামে এরকম কোন অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানি না। আমি স্যারের কাছে আগে শুনি তারপর দেখা যাবে।

উল্লেখ্য, এর আগে তথাকথিত নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চেরই জাহাঙ্গীর আলম নামের এক সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ সহ বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনের দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিদের হুমকি-ধমকি প্রদান করে। তারই প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলা,মিথ্যাচার এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮তম রিজেন্ট বোর্ডে তথা-কথিত উক্ত মঞ্চের কয়েকজন সদস্যকে সাময়িক শাস্তি প্রদান করে বলে জানা গেছে।

কেআই/আরকে