টিপিপি বাতিল করায় রপ্তানি বাড়ার সম্ভাবনা
প্রকাশিত : ০২:৩১ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ০২:৩১ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ শুক্রবার
বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোকে রপ্তানির বিশেষ অগ্রাধিকার চুক্তি, টিপিপি যুক্তরাষ্ট্র বাতিল করায় রপ্তানি বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এবং উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের সংগঠন অ্যালায়েন্সও এমনটাই মনে করে। অর্থনীতিবিদদের কেউ কেউ এ দাবি সমর্থন করছেন।
বিগত কয়েক বছর বাংলাদেশের ৩ হাজার কোটি ডলার রপ্তানি আয়ের প্রায় আড়াই হাজার কোটি ডলারই এসেছে পোষাক শিল্প থেকে। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরেও প্রথম সাত মাসে ২ হাজার ১১ কোটি ডলার রপ্তানি আয়ের মধ্যে পোষাক শিল্প খাতে এসেছে ১ হাজার ৬৪১ কোটি ডলার । এসময় যুক্তরাষ্ট্রে গেছে ৬০০ কোটি ডলারের পোষাক।
তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১৫ সালে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় ১২টি দেশকে নিয়ে ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ, টিপিপি চুক্তি করলে শঙ্কায় পড়েন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। চুক্তি কার্যকরের আগেই শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভিয়েতনামের রপ্তানি ১০০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেই টিপিপি চুক্তি বাতিল করায় শঙ্কা কাটে বাংলাদেশের।
পোষাক শিল্প ছাড়া চামড়া ও চামড়াজাত, পাট ও পাটজাত পন্য, চিংড়ি, ওষুধ, কৃষিজাত, প্লাস্টিক, রাসায়নিক পন্য রপ্তানি আয়ের ২০ শতাংশের কম। অর্থনীতিবিদদের কেউ কেউ টিপিপি চুক্তি বাতিলকে বাংলাদেশের সম্ভাবনা হিসেবেই দেখেন। আছে ভিন্নমতও।
বাংলাদেশের পোষাক কারখানার নিরাপত্তা বাড়াতে কাজ করছে উত্তর আমেরিকার ব্র্যান্ড ও ক্রেতাদের জোট। সংস্থার কান্ট্রিডিরেক্টর, ঢাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জেমস এফ. মরিয়ার্টি একুশে টেলিভিশনকে বলেন, টিপিপি বাতিল বাংলাদেশের রপ্তানির বাড়ার সুযোগ এনেছে।
মরিয়ার্টি জানান, গেল বছর যুক্তরাষ্ট্র পোষাক আমদানি কম করায় চীনের ৮ শতাংশ, ভারতের ৫ শতাংশ রপ্তানি কমলেও বাংলাদেশের কমেছে মাত্র ১ শতাংশ। একমাত্র ১ শতাংশ বেড়েছিল ভিয়েতনামের।