ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

চোখের ট্যাটু করাতে গিয়ে দৃষ্টি হারালেন মডেল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:১৩ পিএম, ৩ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার

চোখে ট্যাটু! তাও আবার চোখের সাদা অংশে। এটা শুনে অনেকের চোখ মুখ যন্ত্রণায় বদলে যেতে পারে। তবে এই ভয়ানক যন্ত্রণার কাজটি করাতে গিয়েই ‘সম্পূর্ণ অন্ধ' হয়ে যেতে বসেছেন এক মডেল! 

পোল্যান্ডের রোকলার বাসিন্দা আলেক্সান্দ্রা স্যাডোওস্কা ঠিক করেন যে র‌্যাপার পোপেকের মতো লুক পেতে তিনিও চোখের মধ্যে ট্যাটু করাবেন। ফলত চোখের সাদা অংশটি কালো রঙ দিয়ে ট্যাটু করাতে তিনি স্থানীয় এক ট্যাটু শিল্পীর কাছে যান। আইবল ট্যাটুকে স্ক্লেরাল ট্যাটু নামেও ডাকা। এটি দেহ পরিবর্তনের একটি চূড়ান্ত রূপ যেখানে স্থায়ীভাবে রঙিন করার জন্য কোনও ব্যক্তির চোখের সাদা অংশে কালি দিয়ে ট্যাটু করা হয়। এই পদ্ধতির দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব এখনও অজানা।

ডেইলি মেইল এর মতে, ২৫ বছর বয়সী ওই মডেল চোখে ট্যাটু করানোর পর থেকেই চোখে ব্যথার অভিযোগ করেন। পিয়োটার এ নামে পরিচিত স্থানীয় এক ট্যাটু শিল্পী তার চোখের ভিতর ট্যাটু করে দেন। ট্যাটু শিল্পী তাকে বলেছিলেন এই যন্ত্রণা স্বাভাবিক এবং পেইন কিলার খেলেই নাকি ব্যথা কমেও যাবে। আলেক্সান্দ্রা স্যাডোওস্কাকে অনিচ্ছাকৃতভাবে মারাত্মকভাবে অক্ষম করার জন্য তিন বছরের কারাদণ্ড হয়েছে ওই ট্যাটু শিল্পীর।

তদন্তে দেখা গিয়েছে যে, চোখের মণিতে ট্যাটু আঁকতে গিয়ে ওই শিল্পী মারাত্মক ত্রুটি করেছিলেন। তিনি চোখের ট্যাটুর জন্য বডি ইংক ব্যবহার করেছিলেন যা চোখের সংস্পর্শে আসাই উচিত নয়।

আলেক্সান্দ্রা স্যাডোওস্কা তার দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনার জন্য তিনটি পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন বলে জানা গেছে। তবে চিকিত্সকরা বলছেন যে ট্যাটুর রঞ্জকটি তার টিস্যুতে পৌঁছে গিয়েছে ফলে দৃষ্টি ফিরে পাওয়ার আর কোনও আশা নেই।

“দুর্ভাগ্যক্রমে, আপাতত চিকিত্সকরা আমার দৃষ্টির উন্নতির জন্য খুব একটা আশাবাদী নন। ক্ষতিটা খুব গভীর এবং ব্যাপক। আমি আশঙ্কা করছি আমি সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যাব,” বলেন আলেক্সান্দ্রা।

পিয়োটার এ-র ​​বিরুদ্ধে আদালতে শীঘ্রই মামলা শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এসি