ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

তাবিথ-ইশরাকের মামলায় সিইসিসহ ১৫ বিবাদীর প্রতি সমন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫১ পিএম, ৩ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:৫৭ পিএম, ৩ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তোলে এর বাতিল চেয়ে বিএনপির দুই মেয়রপ্রার্থীর পৃথক মামলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাসহ ১৫ বিবাদীর প্রতি সমন জারি করেছে আদালত।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য বিএনপির মেয়র প্রার্থীদের পৃথক দুই মামলা আমলে নিয়ে বিবাদীদেরকে জবাব দেয়ার জন্য এ সমন জারি করেছেন। আগামী ২রা এপ্রিল সমনের জবাব দেয়ার দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

আদালতের স্টোনোগ্রাফার জাহাঙ্গীর আলম ও তা‌বিথ আউয়া‌লের অন‌্যতম আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোমবার তা‌বিথ আউয়াল প্রথমে মামলা করেন। এরপর মঙ্গলবার ইশরাক হোসেন ট্রাইব‌্যুনা‌লে এই মামলা দা‌য়ের ক‌রেন। মামলায় বিবাদী করা হয় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম ও নির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলামসহ আট জনকে।

ইশরাকের মামলায় বিবাদী করা হয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসসহ আট জনকে। দুই মামলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাকে বিবাদী করায় ১৫ জন বিবাদী করা হয়েছে।

নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে’ সংক্ষুব্ধ প্রার্থী বা তার মনোনীত ব্যক্তিকে আবেদন করতে হয়। সে অনুযায়ী মঙ্গলবারই ছিল ট্রাইব‌্যুনা‌লে মামলার শেষ দিন।

মামলার পর পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবেন ট্রাইব‌্যুনাল। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি রায়ে খুশি না হলে ৩০ দিনের মধ্যে তিনি ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে’ যেতে পারবেন। নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল ১২০ দিনের মধ্যে আপিলটি নিষ্পত্তি করবেন।

গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম উত্তরে ও ফজলে নূর তাপস দক্ষিণের মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের গেজেট প্রকাশ করেছে। ইতোম‌ধ্যে দুই মেয়র শপথও নি‌য়ে‌ছেন।

এসি