ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ভেঙে গেছে শাবনূরের ৮ বছরের সংসার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫১ এএম, ৪ মার্চ ২০২০ বুধবার

ঢালিউডের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর অস্ট্রেলীয় প্রবাসী অনিক মাহমুদ হৃদয়কে বিয়ে করেছিলেন তিনি। সেই ৮ বছরের সংসার ভেঙে গেছে।

জানা গেছে, গত ২৬ জানুয়ারি হৃদয়কে তালাক দিয়েছেন শাবনূর। নিজের সই করা নোটিশ অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদের মাধ্যমে অনিককে পাঠিয়েছেন এই নায়িকা।

স্বামী অনিককে তালাক দেয়ার কারণ হিসেবে ডিভোর্স নোটিশে শাবনূর বেশ গুরুতর অভিযোগ এনেছেন।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তালাকের নোটিশ এবং হলফনামা প্রস্তুতকারী অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদ।

জানা গেছে, নোটিশের অনুলিপি অনিকের এলাকার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং কাজী অফিস বরাবরও পাঠানো হয়েছে।

অনিকের বিরুদ্ধে আনা শাবনূরের অভিযোগগুলো বিষয়ে অ্যাড. কাওসার আহমেদ বলেন, ‘শাবনূরের স্বামী অনিক মাদকাসক্ত। রাত বিরাতে মাতাল হয়ে বাসায় ফেরেন। প্রতিবাদ করলে শাবনূরকে নানারকম মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেন। আর এ জন্যই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।’

নোটিসে শাবনূর আরো জানিয়েছেন, সব সময় মদ্যপ থাকার কারণে স্ত্রী-সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালন করেন না অনিক। অস্ট্রেলিয়ায় এমন একাকি জীবনে ঠিকমতো শাবনূরের যথাযথ যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণও করেন না।

একজন মুসলিম স্ত্রীর সঙ্গে স্বামী যে ব্যবহার করেন অনিক সেটা করছেন না বলে অভিযোগ শাবনূরের।

অনিকের বিরুদ্ধে শাবনূর আরো অভিযোগ এনেছেন, ছেলের জন্মের পর থেকে অনিক দিন দিন আরো দূরে সরে থাকে। পরে তিনি জানতে পারেন অস্ট্রেলিয়ায় অন্য এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদাভাবে বসবাস করছেন অনিক।

এরপরও সব মেনে নিয়ে স্বামীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন শাবনূর। কিন্তু উল্টো অমানসিক নির্যাতন সইতে হয়েছে নায়িকাকে।

এ নিয়ে চিত্রনায়িকা আরও জানান, এসব কারণে তার জীবনে অশান্তি নেমে এসেছে। এক সময় বিরক্ত হয়েই তার কাছ থেকে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

সবশেষে তালাকনামায় শাবনূর লিখেছেন, ‘এসব কারণগুলোর জন্য মনে হয়ে তার সঙ্গে আমার আর বসবাস করা সম্ভব নয় এবং আমি কখনো সুখী হতে পারব না। তাই নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং সুন্দর জীবনের জন্য তার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছেদ করতে চাই। মুসলিম আইন এবং শরিয়ত মোতাবেক আমি তাকে তালাক দিতে চাই। আজ থেকে সে আমার বৈধ স্বামী নয়, আমিও তার বৈধ স্ত্রী নই।’

যদিও ডিভোর্স নোটিশ বিষয়ে দুজনের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কিছু প্রকাশ করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর অস্ট্রেলীয় প্রবাসী অনিক মাহমুদ হৃদয়কে বিয়ে করেন শাবনূর। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর এ দম্পতির আইজান নিহান নামে এক ছেলে হয়। ছেলেকে নিয়ে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন শাবনূর।
এসএ/