ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

জুয়া বন্ধ তবে ক্লাবগুলোতে অভিযান নয় : হাইকোর্ট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৮ পিএম, ৫ মার্চ ২০২০ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০১:০৪ পিএম, ৫ মার্চ ২০২০ বৃহস্পতিবার

রাজধানীর ঢাকা-উত্তরা ক্লাব ও দেশের অভিজাত ১৩টি ক্লাবসহ সারা দেশে জুয়া খেলা অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেননি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে, আপিল নিষ্পত্তি না হাওয়া পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ক্লাবগুলোতে অভিযান চালাতে পারবে না বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে টাকা ছাড়া তাস খেলায় বাধা দেয়া যাবে না বলেও আদেশ দেয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে ক্লাবগুলোর পক্ষে শুনানি করেন ব‌্যারিস্টার এম আমির উল ইসলাম, ব‌্যারিস্টার তানিয়া আমির ও ব‌্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ।

এদিকে জুয়া খেলার পক্ষের মামলায় আইনজীবী হওয়ায় ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামকে সর্বোচ্চ আদালত বলেন, আপনি এ দেশের সংবিধান প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। অথচ আজকে আপনিই সংবিধানের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছেন– এটি দুঃখজনক।

এর আগে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি টাকার বিনিময়ে জুয়া খেলা অবৈধ ঘোষণা করে আদেশ দেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এরপর হাইকোর্টে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে ক্লাবগুলো। 

২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর এ বিষয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। অন‌্য ক্লাব হলো, গুলশান ক্লাব, বনানী ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব ঢাকা, ঢাকা লেডিস ক্লাব, ক্যাডেট কলেজ ক্লাব গুলশান, চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং সিনিয়র্স ক্লাব, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব ও খুলনা ক্লাব।

রুলে জুয়া জাতীয় অবৈধ ইনডোর গেম যেমন কার্ড, ডাইস ও হাউজি খেলা অথবা এমন কোনো খেলা যাতে টাকা বা অন্য কোনো বিনিময় হয়ে থাকে তা বন্ধের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চান আদালত।

রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রেদোয়ান আহমেদ বলেছিলেন, ঢাকা মেট্রোপলিন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৬, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৮ এবং পাবলিক গেম্বলিং অ্যাক্ট ১৮৬৭ অনুযায়ী কোনো প্রকার জুয়া খেলা দণ্ডনীয় অপরাধ। একইসঙ্গে সংবিধানের ১৮ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারকে পতিতাবৃত্তি ও জুয়া খেলা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে।

এসএ/