ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

স্ত্রীর মর্যাদা পেলেও স্বামীকে পায়নি নওগাঁর সেই তরুণী

নওগাঁ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৭:৪৪ পিএম, ৭ মার্চ ২০২০ শনিবার

ধামইরহাটের তরুণী শাপলা সরকার

ধামইরহাটের তরুণী শাপলা সরকার

অবশেষ স্ত্রীর মর্যাদা পেল নওগাঁর ধামইরহাটের তরুণী শাপলা সরকার (২৫)। দুই দিন স্বামীর বাড়ির সামনে অবস্থানের পর উপজেলা প্রশাসন, ইউপি চেয়ারম্যান ও গ্রামবাসীর সহায়তায় শনিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় তার স্বামীর ঘরে স্থান হয়েছে সে। তবে সে ঘরে এখনও পায়নি স্বামীকে।

জানা গেছে, উপজেলা ইসবপুর ইউনিয়নের পোড়ানগর গোয়ালপাড়া গ্রামের বিনয় চন্দ্র মন্ডলের ছেলে পঙ্কজ কুমার মন্ডলের (৩০) সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার মৌপুকুর গ্রামের বাবলু সরকারের মেয়ে শাপলা সরকারের। এক পর্যায়ে গত ২০১৪ সালের ১৮ জুন এফিডেভিটমূলে তারা গোপনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। 

এ ব্যাপারে শাপলা সরকার বলেন, দির্ঘদিন ধরে পঙ্কজের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর একপর্যায়ে আমরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। কিন্তু বিবাহের পর থেকে আমার স্বামী আমার কোনও খোঁজ খবর রাখেননি। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার দুই পরিবারে মাঝে বৈঠক বসলেও কোনও সমাধান হয়নি। অবশেষে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বামীর বাড়িতে আসি। কিন্তু স্বামীর পরিবারের লোকজন বাড়িতে আমাকে প্রবেশে বাধা দেয়। এই অবস্থায় আমি স্বামীর বাড়ির সামনে অবস্থান নেই। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং ওই গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় আমার শ্বশুর ও শাশুড়ি বিষয়টি মেনে নিয়েছে। কিন্তু আমার স্বামী একটি এনজিওতে চাকুরী করার সুবাদে অন্যত্র রয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে তার মুঠোফোন বন্ধ করে রেখেছে। 

শাপলা সরকারের শ্বশুর বিনয় চন্দ্র মন্ডল বলেন, আমার ছেলে বাড়িতে না থাকার পরও মেয়েটি জোর করে ঘরে প্রবেশের চেষ্টা করে। আমার ছেলে যেহেতু এ সম্পর্ক মানে না তাই তাকে আশ্রয় দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। মেয়েটি কৌশলে জোর করে আমার ছেলেকে ফাঁসিয়েছে। এ বিষয়ে আদালতে আমার ছেলে মেয়েটির বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের করেছে। যা চলমান রয়েছে। তারপরও আমরা বিষয়টি মেনে নিয়েছি। কিন্তু মেয়ের কোনও অভিভাবক না আসায় আমরা মর্মাহত হয়েছি। 

এ ব্যাপারে ইসবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইমরুল কায়েশ বাদল বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার গণপতি রায়ের সহযোগিতায় বিয়ষটি নিয়ে শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অবশেষে গ্রামবাসীর সহায়তায় ওই মেয়েকে তার শ্বশুরের হাতে তুলে দেয়া হয়। 

এদিকে, ওই তরুণীর স্বামী পংকজ কুমার মন্ডলের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এনএস/