ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শিশু সায়মা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় আজ 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৫ এএম, ৯ মার্চ ২০২০ সোমবার | আপডেট: ১১:৪১ এএম, ৯ মার্চ ২০২০ সোমবার

রাজধানীর ওয়ারীতে সাত বছরের শিশু সামিয়া আফরিন সায়মাকে (৭) ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ সোমবার। 

ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক কাজী আব্দুল হান্নানের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এম এ আব্দুল বারী এ তথ্য জানান। 

এর আগে গত ৫ মার্চ রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষে যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। মামলার পর থেকে মোট ৫৮ কার্য দিবসে বিচার শেষ করেন বিচারক। 

গত বছরের ৩০ অক্টোবর আসামি হারুনকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পুলিশ উপ-পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ওয়ারি জোনাল টিমের প্রধান আরজুন। 

চাঞ্চল্যকর এ ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আসামির সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শিশু সায়মার বাবা আব্দুস সালাম। তিনি বলেন, ‘আসামি হারুন আমার মেয়ের ওপর যে পাশবিক নির্যাতন  চালিয়েছে এবং হত্যা করেছে তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই। একইসঙ্গে শাস্তি যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়।’

আব্দুস সালাম বলেন, ‘মামলার বিচার কার্যক্রম নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। কাঙ্খিত রায় হলে আমরা আরও খুশি হব।’

আর মা সানজিদা আক্তার বলেন, ‘মেয়েকে হারিয়ে আমি ভালো নেই। মেয়ের চিন্তায় আমার ঘুম হয় না। আমার নিষ্পাপ মেয়েকে হারুন হত্যা করেছে। তার মৃত্যুদণ্ড হলে আমার মনটা একটু শান্তি পাবে।’

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ জুলাই (শুক্রবার) সন্ধার পর থেকে নিখোঁজ হন আব্দুস সালামের শিশু কন্যা নার্সারির ছাত্রী সামিয়া আফরিন সায়মা। পরে রাত পৌনে ৮টার দিকে ওয়ারীর বনগ্রাম মসজিদ এলাকার নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার পরদিন সায়মার বাবা ওয়ারি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। 

সায়মার বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরে ব্যবসা করেন। ওয়ারী থানার ১৩৯ বনগ্রামের বাড়ির ৬ তলায় নিজের ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে থাকেন থাকতেন তিনি। দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট সায়মা। 

আব্দুস সালাম সেসময় বলেন, ‘ঘটনার দিন শুক্রবার মাগরিবের আজানের সময় আমি নামাজ পড়তে মসজিদে যাই। ফেরার সময় সন্ধ্যার নাশতা কিনে বাসায় আসি। এসে দেখি বাসায় সায়মা নেই। আমি ও আমার স্ত্রীসহ সায়মাকে খুঁজতে শুরু করি। ছয় তলা ও আট তলায় খুঁজে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে আবার আট তলায় খুঁজতে গিয়ে রান্নাঘরে তার লাশ পাওয়া যায়।’

পরে পুলিশ মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, ‘মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয় এবং পরে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।’

এআই/