ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৩ ১৪৩১

করোনায় আক্রান্ত হলে যা করবেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৪৬ পিএম, ১০ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার

প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস বিশ্বে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বিশ্বের ১১৪ টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। বাদ যায়নি বাংলাদেশও। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত তিনজনের শরীরে মিলেছে এই করোনা ভাইরাস। 

দেশে প্রথমবারের প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সংক্রমণের দেখা মেলে গত রোববার। সম্প্রতি ইতালি ফেরত দুই নাগরিকের দেহে মরণ এ ব্যধিটির সন্ধান পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে একজনের সংস্পর্শে আরেকজনের স্ত্রীও আক্রান্ত হয়। এতে এক নারীসহ তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

একইসঙ্গে আক্রান্তদের একজনের সংস্পর্শে আসা আরও ৪০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে। এছাড়া, করোনার লক্ষণ পাওয়া যাওয়ায় সিঙ্গাপুর ফেরত এক বাংলাদেশি শিশুসহ তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

সোমবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় তাদের রাজধানীর কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে বিমানবন্দর সূত্র জানায়। সব মিলিয়ে করোনা ভাইরাস নিয়ে সতর্কবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। 

করোনার উপসর্গ দেখা দিলে সরাসরি হাসপাতালে যেতে মানা করছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা। তারা বলছেন, সত্যিই করোনায় আক্রান্ত হলে তিনি তার অজান্তেই করোনা ছড়াতে ছড়াতে হাসপাতাল পর্যন্ত যাবেন! এবং সেখানে আউটডোরের ভিড়ে আরও অসুস্থ রোগীর মধ্যেও করোনা ছড়িয়ে দিতে পারেন। এ জন্য পরামর্শ হচ্ছে যদি কারো জ্বর হয় সঙ্গে শুকনো কাশি, আর এক সপ্তাহ পর শুরু হয় শ্বাসকষ্ট - করোনার এমন উপসর্গ দেখা দিলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বরে ফোন দিতে হবে। 

এরপর অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা সরাসরি সেই বাসায় যাবেন- আন্ডার কাভারে; দরোজার কাছে গিয়ে তারা স্বাস্থ্য পোষাক পরবেন ..যেন রোগীকে ঘিরে তার সম্পর্কে আতঙ্ক ঘৃণা তৈরি না হয়! সেখানেই তারা নমুনা সংগ্রহ এবং বাকি চিকিৎসার ব্যবস্থা নেবেন। 

এছাড়াও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বরগুলো মোবাইলে সেভ করারও পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হটলাইন নম্বরগুলো হলো- ১৬২৬৩, ০১৪০১১৮৪৫৫১, ০১৪০১১৮৪৫৫৪, ০১৪০১১৮৪৫৫৫, ০১৪০১১৮৪৫৫৬, ০১৪০১১৮৪৫৫৯, ০১৪০১১৮৪৫৬০, ০১৪০১১৮৪৫৬৩, ০১৪০১১৮৪৫৬৮, ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১।

প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্তের সংখ্যা কমতে শুরু করলেও বাড়ছে বিভিন্ন দেশে। বিশেষ করে ইউরোপের দেশ ইতালিসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে। সর্বোচ্চ সতর্কতার পরও এখনও নিয়ন্ত্রণের বাহিরে ভাইরাসটি। যেখানে গত এক সপ্তাহে আক্রান্তের হারে উৎপত্তিস্থল চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে ইতালি, ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়া। 

বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করা ভাইরাসটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। দেশটিতে একদিনেই মারা গেছে ৯৭ জন। আর চীনে প্রাণ গেছে ১৭ জনের।  

এ নিয়ে চীন থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মরণ এ ব্যাধিতে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ৪ হাজার ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যেখানে ৩ হাজার ১৩৬ জনই চীনা নাগরিক। 

এমবি//