ঢাকা, বুধবার   ১৪ মে ২০২৫,   বৈশাখ ৩১ ১৪৩২

মাতৃভাষার দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো বাংলায়

প্রকাশিত : ১০:২৪ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:২৪ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ মঙ্গলবার

শুধু ঢাকাই নয়, মাতৃভাষার দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো বাংলায়। নেত্রকোনাতেও লাগে সেই আন্দোলনের ঢেউ। মিছিল, সমাবেশে উত্তাল হয়ে ওঠে নগরী। নেত্রকোনায় ভাষা আন্দোলনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ ব্যক্তিই বেঁচে নেই; আর যারা আছেন তারাও বয়সের ভারে ন্যুজ্ব। জীবন সায়াহ্নে এসে ভাষা সৈনিকদের দাবি, অন্তত রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। ১৯৫২ সাল। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে উত্তাল পূর্ববাংলা। মিছিলে মিছিলে প্রকম্পিত ঢাকার রাজপথ। সেই উত্তাল আন্দোলনের জোয়ারে শামিল হয় নেত্রকোনার ছাত্র-যুবকরাও। আজিম উদ্দিন আহম্মেদ তাদেরই একজন। প্রতিবাদী কবিতা লেখার অভিযোগে পাকিস্তান সরকার তাকে রাজটিকিট দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে। ৬২ বছর পর ২০১৪ সালে বর্তমান সরকার তার ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেয়। জীবনের পড়ন্ত বেলায় শুধু রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চান এই ভাষা সৈনিক। এডভোকেট একেএম ফজলুল কাদের চৌধুরী। নেত্রকোনা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে শহরের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষসহ ছাত্রদের সংগঠিত করেন তিনি; দিতেন ধর্মঘট, মিছিল, মিটিং-এ নেতৃত্ব। ২০১৪ সালে মারা যান তিনি। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার কারণে কারাবরণ করতে হয়েছিলো এডভোকেট ফজলুর রহমান খানকে। ২০০৮ সালে মারা যান এই ভাষা সৈনিক। আর শিক্ষক ওয়াজেদ আলী ছাত্রদের সাথে একাত্ম হয়ে যোগ দিয়েছিলেন ভাষা আন্দোলনে। এই ভাষা সৈনিকদের স্মৃতি রক্ষায় উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা। ভাষা সৈনিকদের নাম সম্বলিত স্মৃতিফলক হলে, নতুন প্রজন্ম যেমন জানতে পারবে তাদের বীরত্বগাঁথা, তেমনি ইতিহাস হবে সমৃদ্ধ।