ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪,   বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

স্পেন ও ফ্রান্সে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৪ এএম, ১৫ মার্চ ২০২০ রবিবার

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুই বৃহৎ দেশ স্পেন ও ফ্রান্সও ইতালির পথ অনুসরণ করে জরুরি বিধিনিষেধ আরোপ করলো। স্পেনে জরুরি কেনাকাটা, ওষধ ক্রয় কিংবা জরুরি কাজ ছাড়া মানুষজনের ঘরের বাইরে বের হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্র এখন ইউরোপ। ইতালির পর ইউরোপের মধ্যে স্পেনেই সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১৯১ জন। ফ্রান্সে মারা গেছে ৯১ জন। ফ্রান্সে ক্যাফে, রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল এবং বেশিরভাগ দোকানপাটই এখন বন্ধ।

ইউরোপে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। সোমবার থেকে লকডাউন চলছে এখানে। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১৪৪০ জন।

করোনা প্রতিরোধে স্পেন যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে
৪ কোটি ৬৭ লাখ জনসংখ্যার দেশ স্পেনে ৬,৩০০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার রাতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো স্যানচেজের স্ত্রী বেগোনা গোমেজকে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই ১৮০০ জন আক্রান্তকে শনাক্ত করা হয়েছে দেশটিতে। আক্রান্তের বেশিরভাগই রাজধানী মাদ্রিদে।

দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মি. স্যানচেজ দেশটির অধিবাসীদের অতি জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। এই জরুরি অবস্থা দুই সপ্তাহ জারি থাকবে। তবে প্রয়োজন হলে এবং পার্লামেন্ট অনুমোদন করলে বাড়বে এর মেয়াদ।

এছাড়া সব জাদুঘর, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং ক্রীড়াঙ্গন বন্ধ থাকবে। রেস্তোরা এবং ক্যাফে শুধুমাত্র হোম ডেলিভারি করতে পারবে। দেশজুড়ে স্কুলগুলো আগেই বন্ধ করা হয়েছে। তবে ব্যাংক ও পেট্রোল স্টেশনের মতো জরুরি সেবা সংস্থা খোলা থাকবে। 

ফ্রান্স যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে
৬ কোটি ৩৫ লাখ মানুষের দেশ ফ্রান্সে ৪,৪০০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। শনিবার গ্রিনিচ মান সময় রাত এগারোটায় শুরু হওয়া নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকছে রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, সিনেমা হল এবং নাইট ক্লাব। কম জরুরি সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে বন্ধের আওতায়।

তবে খাবারের দোকান, ওষুধের দোকান, ব্যাংক, তামাকের দোকান ও পেট্রোল স্টেশন নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এদুয়ার্দ ফিলিপ্পে।

এছাড়া রোববারের স্থানীয় নির্বাচন বাতিল হয়েছে। যে কোন সমাগম এবং অনুষ্ঠানসমূহ বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। তবে দেশটিতে ধর্মীয় ভবনগুলো খোলা থাকবে।

এএইচ/