ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

সম্প্রচার গণমাধ্যম কর্মীদের করোনা সতর্কতা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:৪৩ পিএম, ২০ মার্চ ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০৫:৪৯ পিএম, ২০ মার্চ ২০২০ শুক্রবার

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ১৭৫টি দেশে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে গ্লোবাল কনসেপ্ট। মরণ এ ব্যাধিতে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে। বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করা ভাইরাসটিতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। 

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে বিশ্বের ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণঘাতি সংক্রমণটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন প্রায় এক হাজার জন। 

আজ শুক্রবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, বিশ্বের অন্তত ১৭৫টি দেশে বিস্তার হওয়া ভাইরাসটিতে বর্তমানে ২ লাখ ৩১ হাজার ২২৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর এখন পর্যন্ত প্রাণহানি ঘটেছে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের। 

ইতিমধ্যে বাংলাদেশেও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে যাচ্ছে করোনা ভাইরাস। এ পর্যন্ত দেশে  ২০ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া গত বুধবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যুও হয়েছে। এছাড়া সুস্থ হয়ে এখন পর্যন্ত হাসপাতাল ছেড়েছেন তিনজন।

এদিকে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে রয়েছেন সংবাদকর্মীরা। নিজেদের সুরক্ষা ও নিরাপদ রাখতে কিছু করণীয় উল্লেখ করেছে সাংবাদিকদের নতুন সংগঠন সম্প্রচার সাংবাদিক কেন্দ্র (বিজেসি)। নিচে করণীয়গুলো তুলে ধরা হলো-

- কাভারেজ কমিয়ে এনে যতোটুকু সম্ভব কম হিউম্যান রিসোর্স দিয়ে নিউজরুম পরিচালনা।

- যে রিপোর্টারদের অ্যাসাইনমেন্ট থাকবে না, তারা বাসা থেকে সার্বক্ষণিক অফিসের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন, সংশ্লিষ্ট তথ্য দিয়ে অফিসকে আপডেট রাখবেন।

- ঝুঁকিপূর্ণ মনে হলে স্পটে না গিয়ে টেলিফোনে ইন্টারভিউ করে বা ফেসবুকে বাইট এনে রিপোর্ট করবেন।

- প্রয়োজনে গ্রাফিক্স এবং ভয়েসওভারে রিপোর্ট করা।

- সেন্ট্রাল ডেস্ক, জনপদ এবং এডিটিং সেকশন তুলনামূলক কম জনবল দিয়ে পরিচালনা।

- জনবহুল এলাকা বা জনাকীর্ণ প্রেস কনফারেন্স যথাসম্ভব কম কভার করা ; গেলেও এক চেয়ার দুরত্ব খালি রেখে বসা বা দাঁড়ানো

- লাইভ এবং মাল্টিমিডিয়া টিম ছাড়া নিউজ সাইট (অনলাইন) ভার্চুয়াল অফিসের মাধ্যমে পরিচালনা 

- ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা যেমন হাসপাতাল এয়ারপোর্ট এ রিপোর্টার ক্যামেরাম্যান এর জন্য ফুল বডি সেফটি গাউন, মাস্ক, গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক করা। অফিসে ফিরে গাউন, ক্যাপ, শু কভার, মাস্ক এবং সবশেষে হ্যান্ড গ্লাভস খুলবেন। সেগুলো ঢাকনাওয়ালা ডাস্টবিনে ফেলা।

- যে কোন রিপোটিং এ মাস্ক হ্যান্ড স্যানিটাইজার অবশ্যই নিতে হবে এবং রিপোর্টার তার (ক্যামেরাম্যান, আইটি এবং ড্রাইভার) স্যানিটাইজ করেছে কিনা এবং মাস্ক নিয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা । 

- নিউজরুমে যথাসম্ভব একসঙ্গে আড্ডা বা কথা বলার প্রবণতা বন্ধ করা। ডেস্কগুলোতে সম্ভব হলে এক চেয়ার খালি রেখে দূরত্ব বজায় রেখে বসা। এডিট প্যানেলে কাজ করার সময় মাস্ক ব্যবহার করা 

- কেউ অসুস্থবোধ করলে তার বিভাগীয় প্রধানকে জানাবেন। বিভাগীয় প্রধান প্রয়োজন অনুযায়ী বাসায় থাকার বা বিশেষ ছুটির ব্যবস্থা করবেন।

- স্টেশনের প্রবেশ দরোজায় অবশ্যই হাত স্যানিটাইজ করে অফিসে ঢুকতে হবে।

- অফিসে/ ঘরে প্রতি ৩ ঘণ্টা অন্তর সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

- রিপোটিংয়ে যাওয়ার সময় গাড়িতে উঠার আগে এবং নামার আগে হাত সেনিটাইজ করতে হবে। প্রতিটি গাড়িতে স্যানিটাইজার থাকবে হবে। 

- অডিও রেকর্ডিং এর আগে মাইক্রোফোন টিস্যু দিয়ে ঢেকে রেকর্ডিং করা। রেকর্ডিং শেষে অবশ্যই টিস্যু ডাস্টবিনে ফেলা।

- প্রেজেন্টার প্রেজেনটেশন এর আগে টক্ ব্যাক, ল্যাপেল ষ্টুডিও জীবাণুমুক্ত করে নেয়া । 

- ঝুকিপূর্ণ পেশাজীবি হিসেবে ; নিজের বাসায় ঢোকার আগে অবশ্যই হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা ; ঘরে বৃদ্ধদের সংগে হাতের স্পর্শ যথাসম্ভব কমিয়ে আনা! 

এমবি//